“চেয়ার আঁকড়ে আছেন কেন? আপনি কেন এত নির্লজ্জ?”, বনগাঁর চেয়ারম্যানকে চরম ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
“সংখ্যাগরিষ্ঠের আনা প্রস্তাব মানা হয়নি। এটি গণতন্ত্রের পক্ষে ভুল।”
![“চেয়ার আঁকড়ে আছেন কেন? আপনি কেন এত নির্লজ্জ?”, বনগাঁর চেয়ারম্যানকে চরম ভর্ৎসনা হাইকোর্টের “চেয়ার আঁকড়ে আছেন কেন? আপনি কেন এত নির্লজ্জ?”, বনগাঁর চেয়ারম্যানকে চরম ভর্ৎসনা হাইকোর্টের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/07/19/201357-bongaon.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা প্রক্রিয়াতেই ভুল ছিল। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে চরম ভর্তসনা করেন তিনি। বিচারপতি বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সঙ্গে নেই, তবুও চেয়ার আঁকড়ে আছেন? আপনি এত নির্লজ্জ কেন?”
এদিন আদালতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠের আনা প্রস্তাব মানা হয়নি। এটি গণতন্ত্রের পক্ষে ভুল।” এরপরই তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান কাউন্সিলরদের আটকে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।” আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেন, “চেয়ারম্যানকে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, এদিন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলা। তাতেই এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মত প্রতিফলিত হয়নি, বনগাঁয় যা হয়েছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক: হাইকোর্ট
এদিন আদালত জানায়, বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট নিয়ম মেনে হয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠের মত প্রতিফলিত হয়নি আস্থাভোটে। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর।
গত সোমবার বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বনগাঁর একদল কাউন্সিলর। এর পরই পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে সরাতে অনাস্থা আনে বিজেপি। পুরসভা দখলে রাখতে এরপর প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই চেষ্টাতেও জল পড়ে।