Gelatin Stick Recovered: রামপুরহাটে উদ্ধার ১২ হাজার জিলেটিন স্টিক, তড়িঘড়ি তদন্তে পুলিস
Gelatin Stick Recovered: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্ফোরকের খোঁজে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। ওই তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। তার জেরে গ্রেফতারও করা হয়েছিল কয়েকজনকে
প্রসেনজিত্ মালাকার: বীরভূমে ফের বিস্ফোরক উদ্ধার হল বীরভূমে। রামপুরহাটের রদিপুর থেকে উদ্ধার হল ১২ হাজার জিলেটিন স্টিক। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে প্যাকেটেবন্দি করে রাখা হয়েছিল ওইসব জিলেটিন স্টিক। কোথা থেকে এল ওইসব স্টিক তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
আরও পড়ুন-সোম থেকে বুধ ভারী বৃষ্টি, তাপমাত্রার পরিবর্তন নেই মহানগরে
আগের অনেকবার বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। দেখা গিয়েছে পাথর খাদানে পাথর ফাটানোর জন্য ব্যবহার হয় জিলেটিন স্টিক। ফলে ওইসব জিলেটিন স্টিক পাথর খাদানের জন্য আনা হয়েছিল নাকি তা অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল সেটাই এখন তদন্তের বিষয়। আরও একটি বিষয় হল ফের বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে কিন্তু জেলা পুলিস কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্ফোরকের খোঁজে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। ওই তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। তার জেরে গ্রেফতারও করা হয়েছিল কয়েকজনকে। আরও একজনকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে পুলিস।
গত ১০ জুলাই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা এক তৃণমূল প্রার্থীকে। বাহাদুরপুর পঞ্চায়েতের ওই প্রার্থীকে টানা জেরার পর গ্রেফতার করে এনআইএ। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মনোজ ঘোষকে এদিন সকাল থেকে জেরা শুরু করে এনআইএ। দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২ জুলাই তাঁকে তলব করে এনআইএ। নির্বাচনের কারণে তিনি হাজিরা দেননি। তার পরেই এই এই জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতার।
কী অভিযোগ মনোজ ঘোষের বিরুদ্ধে? ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি পিকআপ ভ্য়ান থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটার পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রথমে তদন্ত করে রাজ্য পুলিস। পরে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। ওইসব লোকজন বেআইনিভাবে ডিটোনেটার, জিলেটিন স্টিক, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে আসতো এবং বীরভূমের বেআইনি পাথর খাদানগুলিতে সরবারহ করতো বলে অভিযোগ। রিন্টু সেখ নামে এক সরবারহকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত রিন্টু সেখকে গ্রেফতার করে জানা যায় বাহাদুরপুরের তৃণমূল প্রার্থী মনোজ ঘোষের একটি পাথর খাদান রয়েছে। সেই খাদানের জন্য রিন্চু নিয়মিত মনোজকে জিলেটিন স্টিক, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ডিটোনেটার সরবারহ করত। শুধু তাই নয়, বেআইনি পাথর খাদানের জন্য রিন্টুর মতো অন্য যেসব সরবারহকারী বিস্ফোরক নিয়ে আসতো তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিতেন মনোজ। এনিয়েই গত ২ জুলাই মনোজকে তলব করে এনআইএ। কিন্তু নির্বাচনের কাজের কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে যান মনোজ। পাশাপাশি, তিনি এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন তিনি। তবে তার মধ্যেই জুলাইয়ের ১০ তারিখে তাকে হাজিরা দিতে বলে এনআইএ। কিন্তু হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ভোট মিটিয়ে ১০ জুলাই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে।