পেঁচিয়ে ধরেও শেষরক্ষা হল না, আস্ত ছাগল গিলে খাওয়ার আগেই পাকড়াও ২০ ফুটের বিশাল অজগর
ছাগল খাওয়া আর হল না। তার আগেই মালবাজারে বনকর্মীদের হাতে ধরা পড়ল বিশাল অজগর। মঙ্গলবার মালবাজার মহকুমার তারঘেরা রেঞ্জে ২০ ফুটের ওই অজগরকে পাকড়াও করেন বনকর্মীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাগল খাওয়া আর হল না। তার আগেই মালবাজারে বনকর্মীদের হাতে ধরা পড়ল বিশাল অজগর। মঙ্গলবার মালবাজার মহকুমার তারঘেরা রেঞ্জে ২০ ফুটের ওই অজগরকে পাকড়াও করেন বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন-
এদিন তারঘেরা রেঞ্জের নিউ প্ল্যান্টেশন এলাকায় ছাগলের চিত্কার শুনতে পান বনকর্মীরা। তারা খবর দেন রেঞ্জার শুভাশীষ মৈত্রকে। ঘটনাস্থলে এল চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় শুভাশীষের।
আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীরে খুলছে বিনিয়োগের দরজা, এল ১৫,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব
শুভাশীষ বাবু বলেন, ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিশাল একটি অজগর পেঁচিয়ে ধরেছে একটি ছাগলকে। সেটি এমনভাবে ছাগলটিকে ধরেছে যে তার বাঁচার উপায় নেই। অজগরের সঙ্গে বনকর্মীদের ধস্তধস্তি শুরু হয়ে যায়। কোনওভাবেই ছাগটিকে ছাড়তে চাইছিল না সাপটি। অবশেষে শ্বাসরুদ্ধ হয়েই মারা যায় ছাগলটি।
বহু চেষ্টার পর অজগরটিকে খাঁচাবন্দি করেন বনকর্মীরা। শুভাশীষবাবু বলেন, এলাকায় এর আগে এতবড় অজগর আগে ধরা পড়েনি। সম্ভবত খাবারের খোঁজেই এলাকায় ঢুকেছিল সেটি। সুস্থ্য থাকায় অজগরটিকে বৈকন্ঠপুর জঙ্গলের রাইনো ঝিলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের, ছোড়া পাথরে ভাঙল জানালা
উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহে তারঘেরা রেঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩টি অজগর উদ্ধার হল। সব কটি অজগরকেই রাইনো ঝিলে ছাড়া হয়েছে। মাঝে মধ্যে যে ভাবে অজগর লোকালয়ে চলে আসছে তাতে আতঙ্কিত এলাকার মানুষেরা। বন দপ্তর সুত্রে জানা গেছে আজ যে অজগরটি উদ্ধার হল, তা মানুষকে পেচিয়ে ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।