রাতেই স্বামীর কাছে আসেন, এক যুগ দাম্পত্য়ের পর দুই সন্তানের দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতি!
দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। শুক্রবার রাতে জয়ন্ত, স্ত্রী দিপালীকে ডেকে পাঠান। দিপালী তখন স্বামী জয়ন্তর সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাতে আর ফেরে না।
অনুপ দাস: দাম্পত্য কলহের বশে স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে খুন করল স্বামী। তারপর রেললাইনে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত কুটিরপাড়ায় এলাকায়। মৃতার নাম দীপালি সরদার। স্বামী জয়ন্ত সরদার। পেশায় দিনমজুর ছিলেন জয়ন্ত সরদার। শনিবার সকালে ফাঁকা জমিতে ওই গৃহবধূর গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপরই রেললাইনে উদ্ধার হয় স্বামীর নিথর দেহ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, ১২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় জয়ন্ত-দীপালির। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। ছেলের বয়স ৯ বছর। আর মেয়ের বয়স ৫ বছর। সূত্রের খবর, স্ত্রী দিপালী সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল জয়ন্তর। দাম্পত্য কলহ আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছিল। দাম্পত্য কলহের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। আদালতে দীর্ঘদিন ধরেই মামলা চলে। তবে শুক্রবার রাতে জয়ন্ত, স্ত্রী দিপালীকে ডেকে পাঠান। দিপালী তখন স্বামী জয়ন্তর সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাতে আর ফেরে না।
এরপরই শনিবার সকালে ফাঁকা জমিতে দীপালির সরদারের গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। এরপরই রেললাইন উদ্ধার হয় স্বামী জয়ন্ত সরদারের দেহও। জানা যায়, স্ত্রীকে খুনের পর রেললাইনে আত্মঘাতী হয়েছে স্বামী জয়ন্তও। এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, শ্বশুরের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক দিতে গিয়ে উধাও ছাত্রী! রহস্যজনক পরিণতি...
'মুখ্যমন্ত্রী মঞ্জুর না করলে...', পঞ্চায়েত নিয়ে মমতাকে চরম হুঁশিয়ারি আবদুল করিমের!