Burima Jagaddhatri Puja: আড়াইশো বছরেও 'বুড়িমা' দীপ্ত তারুণ্যে পূর্ণ, অগণিত মানুষ আবেগে উত্তাল...
Burima Jagadhatri Puja: কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজোর প্রচলনের পরই চাষাপাড়া বারোয়ারি অর্থাৎ, বুড়িমার পুজোর প্রচলন। বলা হয়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কোনও এক সময়ে চাষাপাড়া বুড়িমার পুজোর ব্যয়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। কীভাবে বহন করা যাবে এত খরচ? তখন নাকি জগদ্ধাত্রী কৃষ্ণচন্দ্রকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে আশ্বস্ত করেন!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জগদ্ধাত্রী পুজো বললেই চন্দননগর-কৃষ্ণনগরের কথাই আসে। তবে ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja) বললে কৃষ্ণনগরের নামই আসে। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা। তারপর কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) একাধিক জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়। তবে কৃষ্ণনগরের সব চেয়ে ঐতিহ্যবাহী পুজো বলতে যে নামটি সকলের আগে সকলের মনে আসে সেটি চাষাপাড়ার বুড়িমার (Chasapara Burima) জগদ্ধাত্রী পুজো। বলতে গেলে, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঐতিহ্য ও আবেগের অন্য নাম চাষাপাড়া 'বুড়িমা' (Buri Maa)।
জানা যায়, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজোর প্রচলনের পরই চাষাপাড়া বারোয়ারি অর্থাৎ, বুড়িমার পুজোর প্রচলন। বলা হয়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কোনও এক সময়ে চাষাপাড়া বুড়িমার পুজোর ব্যয়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। কীভাবে বহন করা যাবে এত খরচ? তখন নাকি জগদ্ধাত্রী কৃষ্ণচন্দ্রকে স্বপ্নাদেশ দেন, বলেন, চাষাপাড়ায় যেসব লেঠেলরা আছেন তাঁরাই দেবীর পুজোর আয়োজন করবেন! তবে কেউ কেউ মনে করেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বুড়ি মার পুজো নিয়ে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এটা একরকম গল্পই। এর কোনও সত্যতা নেই। সে, যাই হোক। তবে এ কথা ঠিক যে, রাজা তাঁর নিজের বাড়ির পুজো অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে উৎসাহী ছিলেন এবং এজন্য প্রজাদের তিনি অনুদানও দিতেন।
আরও পড়ুন: Jagaddhatri Puja: বিশ্বাস, এখানে দেবীকে পুজো করলেন স্বয়ং দেবীই! কোথায় ঘটল এমন আশ্চর্য অলৌকিক?
রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই এখানকার পুজো শুরু হয় বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। তবে প্রথম থেকেই এই পুজো 'বুড়িমার পুজো' নামে পরিচিত ছিল না। নামটা খুব সম্ভবত সত্তর-পঁচাত্তর বছর আগে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রবীণদের অভিমত। বুড়িমার পুজোয় দেবীর আগমন থেকে বিসর্জন-- সবেতেই রয়েছে অনন্যতা। কৃষ্ণনগরের সমস্ত প্রতিমা বিসর্জনের শেষে বুড়িমার বিসর্জন। আর বুড়িমা যতক্ষণ না বিসর্জন হয় ততক্ষণ রাস্তার দুধারে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন মানুষ। পুরনো রীতি মেনে আজও বুড়িমা কাঁধে চেপেই বিসর্জনের পথে যান। প্রতিমা নিয়ে রাজবাড়ি ঘুরে শহর পরিক্রমা করে তার পরে তাঁকে জলঙ্গীর ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়।
এবছর বুড়িমার পুজো ২৫০ বছরে পদার্পণ করল। এবার বুড়িমার পুজো উপলক্ষ্যে হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাকছে নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থা। পাঁচদিন ধরে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে।