''শান্তনুকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রে সামিল খোজ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক'', পাল্টা তোপ কৈলাসের
প্রসঙ্গত, শনিবার কল্যাণী যাওয়ার পথে গাইঘাটা থানার হাঁসপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি। পুলিসের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি দুর্ঘটনা আসলে ষড়যন্ত্র। এর পিছনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত রয়েছে। পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপিনেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
তিনি বলেন, ''বড় দুর্ঘটনার থেকে শান্তনু ঠাকুর বেচেঁছেন। ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্রে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তৃণমূল সমর্থকরা সামিল। কারণ যে গাড়ি চালাচ্ছিল সে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ওখানে কাজ করে।'' তাঁর আরও অভিযোগ, ''একটা প্রাইভেট গাড়ি পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল। এটা জেনে শুনে করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বস্ত একজনকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। রাজ্যের পুলিশের ওপর বিশ্বাস নেই। কেন্দ্রীয় সংস্থা এর বিচার করবে। এই সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ করেছি। রাজ্যের গুণ্ডাদের মধ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এক জন। তাঁর এই রাজ্যে থাকার অধিকার নেই। অথচ তিনি সরকারের মন্ত্রী হয়ে আছেন। এই ষড়যন্ত্রে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই যুক্ত।''
প্রার্থীদের বায়োডাটা, শ্রীরামপুর: মাহেশের কেন্দ্রে দড়ি টানাটানি দুই আইনজীবীর, নজরে তীর্থঙ্কর-ও
প্রসঙ্গত, শনিবার কল্যাণী যাওয়ার পথে গাইঘাটা থানার হাঁসপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি। পুলিসের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি। ধাক্কার চোটে পুরো তুবড়ে যায় পুলিসের স্টিকার লাগানো গাড়িটির সামনের অংশ। মাথায় চোট পান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়ি দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আঙুল তোলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। উত্তেজিত বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা পুলিসের গাড়িও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ।
শান্তনু ঠাকুরের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তোপ দাগেন, "শান্তনু ঠাকুর নাটক করছেন। হেরে যাবে বলে এরকম নাটক শুরু করেছেন। এদিন বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর উত্তরপ্রদেশের একটি গাড়ি করে টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন মানুষকে দেওয়ার জন্য। তখন সিআরপিএফ-এর গাড়ির সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ির ধাক্কা লাগে। গাড়িতে ২৫ লাখ টাকা ছিল। আরএসএস-এর ৫ জন যুবক ছিল। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। তখন পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করেন বিজেপির লোকেরা।" তারই পাল্টা জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।