Bankura: বরযাত্রী বাসে লুটপাট চালিয়ে তেলঙ্গানায় লুকিয়ে ছিল ২ কিং পিন, ধরে আনল বিষ্ণুপুর থানার পুলিস
Bankura: পুলিসের নাগালের বাইরে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপন করে ছিল ছোট আঙারিয়া গ্রামের বাসিন্দা আইসুর মন্ডল ওরফে এডাম এবং জহুর মন্ডল ওরফে জলিল
মৃত্যুঞ্জয় দাস: গত ৩০ নভেম্বর বরযাত্রী বোঝাই একটি বাস ও একটি ডাম্পারকে জঙ্গলের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সর্বস্ব লুঠের ঘটনায় এবার পুলিসের জালে ঘটনায় যুক্ত চক্রের ২ মাস্টারমাইন্ড। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার ঢেঙাশোলের জঙ্গলে ঘটা সেই ঘটনার তদন্তে নেমে তেলঙ্গানায় আত্মগোপন করে থাকা আইসুর মল্লিক ওরফে এডাম এবং জহুর মন্ডল ওরফে জলিলকে গ্রেফতার করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। তেলঙ্গানা থেকে ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে গতকাল বিষ্ণুপুরে নিয়ে আসে পুলিস। আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে ধৃতদের পেশ করে পুলিস হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।
আরও পড়ুন- চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন এবার বাংলাদেশ হাইকোর্টে, সোমবার শুনানির আশায় আইনজীবীরা
গত ৩০ নভেম্বর রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার ঢেঙাশোলের জঙ্গলের রাস্তায় গাছ ফেলে প্রথমে একটি ডাম্পারে ও পরে একটি বরযাত্রী বোঝাই বাসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাট চালায় ৫ জনের একটি দুস্কৃতীদল। দুস্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে পড়ে ভয়ে বরযাত্রীরা তাঁদের যাবতীয় অলঙ্কার ও নগদ টাকা তুলে দেন দুস্কৃতীদের হাতে। লুঠপাটের পরই ওই জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় দুস্কৃতীরা।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় গিয়েও আর দুস্কৃতীদের খোঁজ পায়নি পুলিস। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের মোবাইল টাওয়ার লোকেশান ও স্থানীয় সূত্র কাজে লাগিয়ে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে বাঁকুড়া ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানা এলাকা থেকে সাদেক আলি খান ওরফে পিচি, মজিবুর খান ও সামসুদ্দিন মন্ডল নামের ৩ দুস্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
এতদিন ওই ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত মূল মাস্টারমাইন্ড গড়বেতা থানার ছোট আঙারিয়া গ্রামের বাসিন্দা আইসুর মন্ডল ওরফে এডাম এবং জহুর মন্ডল ওরফে জলিল পুলিসের নাগালের বাইরে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপন করে ছিল। সম্প্রতি তদন্তকারীরা প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এবং নির্দিষ্ট সূত্র কাজে লাগিয়ে জানতে পারে ওই দুই মাস্টারমাইন্ড তেলেঙ্গানায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এরপরই তদন্তকারীদের একটি দল তেলঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার কোকাপেট এলাকায় হানা দিয়ে ওই দুই মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে। পরে সেখান থেকে ধৃতদের ট্রানজিট রিমাণ্ডে নিয়ে গতকাল রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ফেরেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের আশা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃত এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খোয়া যাওয়া সামগ্রী যেমন উদ্ধার করা সম্ভব হবে তেমনই এই চক্রে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও তথ্য মিলবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)