জল্পনা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে শেষমেশ যোগ দিলেন মমতা

দিল্লি প্রশাসন আগেই জানিয়েছে, লকডাউনের মেয়াদ ৭ মে পর্যন্ত বাড়াতে চায় তারা। দিল্লি, কলকাতা-সহ দেশের কোনও বড় শহরেই এখনই লকডাউন উঠবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Updated By: Apr 27, 2020, 10:26 AM IST
জল্পনা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে শেষমেশ যোগ দিলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতটা আশার আলো দেখছে দেশ? রাজ্যগুলির পরিস্থিতি কী? আদৌ কি ৩ মে লকডাউন উঠবে? যদি লকডাউন ওঠে বিকল্প হিসাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে? কোনও কোনও ক্ষেত্রে কী ছাড় দেওয়া যাবে? একাধিক প্রশ্নের উত্তর আজ, সোমবার মিলতে পারে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে। গত কাল সব রাজ্যের শীর্ষ পর্যায়ের অফিসারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিবের ডাকা ভিডিয়ো বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যগুলির শীর্ষ কর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে রাজ্যের কথা বলার সুযোগ নেই, তাই এই বৈঠকে মমতা থাকবেন না বলে প্রথমে খবর ছিল। তাঁর বদলে বৈঠকে থাকার কথা ছিল মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার। শেষমেশ জল্পনা উড়িয়ে বৈঠকে যোগ দেন মমতা।
মূলত, এদিনের বৈঠকে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর চেষ্টা
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানো নিয়ে ভবিষ্যতে কী ভাবে এগোনো হবে।
তাঁদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করা যেতে পারে কিনা
যে সব রাজ্যগুলি থেকে মুম্বই, দিল্লির মতো শহরে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক গিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে বিহার।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ দিনমজুরের কাজে বাইরে গিয়েছেন, তাঁরা গ্রামে ফিরতে চান। তাঁদের ফেরানোর ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে
কেরলের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে ইস্যু হয়ে উঠেছে। সেটি হল, কেরল থেকে প্রায় ৫ লক্ষ মালায়ালি শ্রমিক বিদেশে আটকে পড়েছেন, তাঁদের রাজ্যে ফেরানো নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

করোনা উপসর্গ প্রসূতির, প্রসব করলেন মৃত সন্তান, কলকাতায় ছড়াল চাঞ্চল্য
অর্থনৈতিক ইস্যু
এক্ষেত্রে মূলত কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজ সাহায্য চাইতে পারে রাজ্যগুলি
গত ২০ এপ্রিলের পর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে দোকান ও কারখানা খোলা হয়েছে। তবে ৩ তারিখ লকডাউন না উঠলে আরও কীভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে সচল রাখা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে
লকডাউন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ঠিক কী করা প্রয়োজন, তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা সেই বিষয়টির ওপরই জোর দিতে পারে বলে খবর।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ইস্যু হতে পারে, রাজ্যের বহু ট্রাক ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে আটকে রয়েছে, সেগুলিকে কীভাবে ফেরানো সম্ভব।
পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ৩ মাসের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ দাবি করতে পারেন
গত ২০ এপ্রিলের পর রাজস্থানের কারখানাগুলি খুলেছে, তারপরও আর্থিক সাহায্য দাবি করতে পারেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে পারেন।  খনি থেকে গৃহীত অর্থ পিএম ফান্ডে জমা হয়। তাঁর দাবি, রাজস্ব আদায়ের একাংশ যদি মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে জমা হয়, তাহলে সুবিধা হবে
লকডাউনে রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, ওয়েলফেয়ার ফান্ডে বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে। সেব্যাপারে আলোচনা হতে পারে
স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত
এক্ষেত্রে মূলত রাজ্যগুলি করোনা মোকাবিলায় ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে
রাজ্যগুলিতে এক্ষেত্রে অভিযোগ করতে পারে, ICMRএর পাঠানো কিটে সমস্যা রয়েছে
রাজ্যগুলি ঠিকমতো পিপিই-সহ সমস্ত জিনিস ঠিক মতো পারছে কিনা, তা জানতে চাইতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
রাজ্যগুলির চিকিত্সা পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা হতে পারে
কোনও কোনও রাজ্যে লকডাউন সর্বতোভাবে মানা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করতে পারেন বলে খবর

সর্বোপরি মনে করা হচ্ছে, ৩ মে দেশের কোনও বড় শহরেই এখনই লকডাউন তুলতে নারাজ কেন্দ্র। উল্লেখ্য, দিল্লি প্রশাসন আগেই জানিয়েছে, লকডাউনের মেয়াদ ৭ মে পর্যন্ত বাড়াতে চায় তারা। দিল্লি, কলকাতা-সহ দেশের কোনও বড় শহরেই এখনই লকডাউন উঠবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

.