'না খেয়ে মরতে বসেছি, বাঁচান'... বাংলার শ্রমিকদের আর্তির পরই ১৮ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা
"আমরা না খেয়ে মরতে বসেছি। দিদি আমাদের প্রাণে বাঁচান।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন বাংলার শ্রমিকরা। তাঁরা খাবার, থাকার জায়গা পাচ্ছেন না। বার বার রাজ্য সরকারকে ফোন করছেন তাঁরা। ভিডিয়ো বার্তায় উদ্ধারের আর্তি জানাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আটকে থাকা সমস্ত বাংলার শ্রমিকরা যাতে ঠিকমতো খাদ্য-বাসস্থান পায়, তা নিশ্চিত করতে এবার চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৮টি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এক ভিডিয়ো বার্তায় কেরল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রাণে বাঁচানোর আবেদন জানান হলদিবাড়ির কয়েকজন দিনমজুর। ভিডিয়োয় তাঁদেবলতে শোনা যায়, "আমরা না খেয়ে মরতে বসেছি। দিদি আমাদের প্রাণে বাঁচান।" জানা গিয়েছে, আরব সাগরে আসা সামুদ্রিক মাছ লোডিং ও আনলোডিং-এর কাজ করেতে কেরলের কোল্লাম জেলায় কাজে গিয়েছিলেন কোচবিহারের হলদিবাড়ির বাসিন্দা নরেশ চন্দ্র রায় সহ আরও বেশ কয়েকজন। কেরলে দিনমজুরের কাজ করে সেই টাকা বাড়ি পাঠিয়ে কোনওভাবে চলে যাচ্ছিল সংসার।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতেই সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন তাঁরা। ভিডিয়োতে নরেশ রায় জানান, "এখানে আমরা ৮-৯ জন রয়েছি। গোটা দেশ এভাবে লকডাউন হয়ে যাবে তা আমরা ভাবতে পারিনি। আমাদের কাছে যা টাকাকড়ি ছিল, তা সব শেষ। এখানে আমরা না খেয়ে রয়েছি। একবারের জন্য কেউ আমাদের খোজ নিচ্ছে না।" তাঁদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও সাহায্যের হাত বাড়াননি। তাই বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, 'কেন্দ্রের কাছে না চেয়ে ক্লাবকে দেওয়া অনুদানের টাকাগুলো ব্যবহার করুক'