পাশে আছি, সংসদের ভেতরে-বাইরে আপনার জন্য লড়াই করব, কুমারস্বামীকে ফোন মমতার
কর্ণাটক বিজেপির দাবি ইস্তফা দিতে হবে কুমারস্বামীকে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি যখন তাঁর ইস্তফার দাবি তুলছে তখন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনতা দল ইউনাইটেড সূত্রে খবর, কুমারস্বামীকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। তৃণমূল নেত্রী কুমারস্বামীকে জানিয়েছেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। সংসদের ভেতরে ও বাইরে আপনার জন্য লড়াই করব।’
আরও পড়ুন-সংসদে বিজেপির ভোটে জিতল তৃণমূল, গোপন আঁতাতের অভিযোগ বাম - কংগ্রেসের
কর্ণাটক ও গোয়ায় সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে ও বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করছে এই অভিযোগে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সংসদরা। তৃণমূল সাংসদরা ছাড়াও ওই বিক্ষোভ ছিলেন আজম খান সহ সমাজবাদী পার্টির একাধিক সাংসদ। এছাড়াও ছিলেন সিপিআই নেতা ডি রাজা ও আরজেডির সাংসদরা।
উল্লেখ্য, কুমারস্বামী সরকারকে বিপাকে ফেলে ইস্তফা দিয়েছেন কর্ণাটকের জেডিএস-কংগ্রেস জোটের ১৬ বিধায়ক। এদের ইস্তাফাপত্র মঞ্জুর না হওয়ায় এরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের সন্ধে ৬টার মধ্যে স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিতে হবে।
আরও পড়ুন-টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং অর্ডারের গলদ ধরে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর
এদিকে, কর্ণাটক বিজেপির দাবি ইস্তফা দিতে হবে কুমারস্বামীকে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘কেন ইস্তফা দেব! এর কী প্রয়োজন রয়েছে?’ অন্যদিকে এনিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘কুমারস্বামীর ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। ২০০৮ সালে ইয়েদুরাপ্পা যাখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর দলের অনেক বিধায়কই ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারজন্য কি ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করেছিলেন?’