Siliguri: অন্তঃসত্ত্বা হতেই রুদ্রমূর্তি স্বামীর, স্ত্রীর গলায় কোপ যুবকের
Siliguri: "অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই অত্যাচার বাড়ে। আমার বাড়িতে টাকা চাওয়ার চাপ। এর আগে একবার বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করে। সেবার কোনমতে বেঁচে যাই। এবার পেটে লাথি মারতে থাকে ৷ গলায় চাকু চালিয়ে দেয়। "
নারায়ণ সিংহ রায়: সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলায় চাকু মেরে খুনের চেষ্টা স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া এলাকায়। বছর খানেক আগে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নিকরগাছ গ্রামের জরিনা খাতুনের সঙ্গে সুদামগঞ্জ গ্রামের মোহাম্মদ গুলজারের দুই পরিবারের সহমতে বিয়ে হয়। দীর্ঘদিনের প্রেম থেকেই এই পরিণয়।
আরও পড়ুন-হু হু করে দাম কমবে পেট্রোলের, বড় ঘোষণা মোদীর
বিয়ের পর মাস তিনেক ঠিকঠাকভাবে সংসার চললেও তারপর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার, অভিযোগ জরিনা খাতুনের। পরিবারের অভিযোগ, কয়েক মাস আগেও জরিনাকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করে তার স্বামী গুলজার। পেশায় গাড়ি চালক গুলজারকে বিয়েতে যৌতুক হিসাবে একাধিক সামগ্রী সহ প্রায় চার লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাতেও সন্তুষ্ট থাকেনি সে। বিয়ের পরই আরও টাকার দাবি জানাতে থাকে গুলজার ও তার পরিবার।
বেশ কিছুদিন থেকে জরিনার বাড়িতে পুনরায় আবার এক লক্ষ টাকার দাবি করছিলেন গুলজার। তা দিতে না পারায় গতকাল সেই অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে পেটে লাথি ও গলায় চাকু মেরে খুনের চেষ্টা করছিলেন মোহাম্মদ গুলজার। এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে জরিনার পরিবারের লোকেরা ছুটে আসলে তাদেরও মারধর করে গুলজারের পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি আহত জরিনাকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । বর্তমান সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। পরিবারের তরফ থেকে ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস। আজ ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
আহত জরিনা জানান, "অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই অত্যাচার বাড়ে। আমার বাড়িতে টাকা চাওয়ার চাপ। এর আগে একবার বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করে। সেবার কোনমতে বেঁচে যাই। এবার পেটে লাথি মারতে থাকে ৷ গলায় চাকু চালিয়ে দেয়। শুধুমাত্র গুলজার একা নয়, তার গোটা পরিবার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গুলজার সহ গোটা পরিবারের শাস্তির দাবি জানাই।" জরিনার মা সেলিয়া খাতুন জানান , "বিয়ের সময় অনেক টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছে তারপরও তদের দাবি থামছে না। গুলজার সহ গোটা পরিবার এই কান্ডের সাথে জড়িত। এর আগে বিষ খাইয়েছিল৷ এবার মেয়ে সহ মেয়ের বাচ্চাকে খুনের চেষ্টা করেছে ওরা। এর বিচার চাই আমি।"
ঘটনাকে কেন্দ্র করে দার্জিলিং পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানান, "গোটা ঘটনা জেনে সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে পরে জানাব।"