Nadia Murder: এক দশক আগে প্রেম করে বিয়ে, হাঁসুয়ার কোপে সব শেষ
Nadia Murder:নিহতের মা বলেন, প্রায়ই আমাদের বাড়ির পেছনে গল্প করে ফিরে যায় জয়ন্ত। গতকাল বলেছিল, ও বাড়ি যেতে বলছে। তুমি কি যেতে দেবে? ওই কথা শুনে আমি বললাম, ঠিক আছে য়াও। তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। আজ সকালে ওর ছেলেকে বললাম তোর মাকে ডেকে নিয়ে আয়। ও এসে খবর দেয় মা আর নেই।
অনুপ দাস: দাম্পত্য কলহের মারাত্মক পরিণতি। স্ত্রীর গলা কাটা দেহ মিলল খোলা মাঠে। পাশাপাশি অভিযুক্ত স্বামীর দেহ মিলল রেল লাইনের পাশে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কুটিপাড়া এলাকায়। সাতসকালে জমিতে ওই মহিলার মৃতদেহ মেলায় চমকে ওঠেন এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন-বাড়ায় ক্যানসারের ঝুঁকি! বাংলায় বিপজ্জনক নোটিফায়াবেল ডিজিজের তালিকায় নয়া ২ রোগ
নিহত গৃহবধূর নাম দীপালি সর্দার। তার স্বামীর নাম জয়ন্ত সর্দার। স্থানীয় সৃত্রে খবর, বহুদিন ধরেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেছিল। বারো বছর আগে প্রেম করে তাদের বিয়ে হয়। দীপালিকে মেনে নিতে পারছিল না জয়ন্ত বাড়ির লোকজন। সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। পেশায় দিনমজুর জয়ন্ত ও দীপালির একটি ৯ বছরের ছেলে ও ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
দাম্পত্য কলহের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলার কারণে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না বলেই জানা যায় পরিবার সূত্রে। শুক্রবার রাতে জয়ন্ত সর্দার তার স্ত্রী দিপালী সর্দারকে ডেকে পাঠান। দিপালী সর্দার তার স্বামীর কাছে গেলে রাতে আর ফেরে না। এরপরেই শনিবার সকালে ফাঁকা জমিতে দীপালির সর্দারের গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপরে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। জানা যায় রেললাইনে আত্মঘাতী হয়েছে দিপালী সর্দারের স্বামী জয়ন্ত সর্দারও। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিস।
নিহতের মা বলেন, প্রায়ই আমাদের বাড়ির পেছনে গল্প করে ফিরে যায় জয়ন্ত। গতকাল বলেছিল, ও বাড়ি যেতে বলছে। তুমি কি যেতে দেবে? ওই কথা শুনে আমি বললাম, ঠিক আছে য়াও। তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। আজ সকালে ওর ছেলেকে বললাম তোর মাকে ডেকে নিয়ে আয়। ও এসে খবর দেয় মা আর নেই। তারপর মাঠে ছুটে এসে দেখি ও পড়ে রয়েছে। কুপিয়ে মারা হয়েছে দেখছি।