Nadia News: ভাইয়ের বিয়েতে আনন্দ-ফূর্তির পর দাদা ঘটালেন ভয়ংকর কাণ্ড, স্তম্ভিত পরিবার থেকে এলাকাবাসী
পরিবারে স্ত্রী ও এক সন্তানও রয়েছে প্রসেজিৎ মজুমদারের। বিয়ের অনুষ্ঠান মিটতে না মিটতেই আজ সকালে পাটিকাবাড়ি বাজারে একটি কাঠের দোকানের সামনে প্রসেনজিৎ মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এলাকার লোকজন।
অনুপ কুমার দাস: সারারাত ছোট ভাইয়ের বিয়েতে আনন্দ ফুর্তির পর ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি এলাকাতেই আত্মঘাতী দাদা। জানা গিয়েছে, সংসারে আর্থিক সংকটের কারণে মানসিক অবসাদ। আর সেই কারণেই আত্মহত্যা। সুটেড-বুটেড অবস্থায় এক দোকানের সামনে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার এলাকার ঘটনা।
নদিয়ার নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়ি বাজারে একটি দোকানের সামনে থেকে এদিন সকালে ওই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রসেনজিৎ মজুমদার। ২৪ বছরের ওই যুবক তেহট্টর বার্নিয়া শ্রীকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা। তাঁর ভাই চিরঞ্জিত মজুমদারের বিয়ে ছিল গতকাল নদিয়ার নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়িতে। ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষেই বার্নিয়া থেকে নাকাশিপাড়া এলাকায় পাটিকাবাড়িতে এসেছিলেন দাদা প্রসেনজিৎ। এরপর বিয়ের অনুষ্ঠান মিটতে না মিটতেই আজ সকালে পাটিকাবাড়ি বাজারে একটি কাঠের দোকানের সামনে প্রসেনজিৎ মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এলাকার লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ওইখান রাস্তার একপাশে বালি রাখা ছিল একটি মশারির জাল দিয়ে । সেই মশারির নিয়েই দড়ি পাকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। নাকাশিপাড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস গিয়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী প্রসেনজিৎ মজুমদারের কোনও স্থায়ী কাজ ছিল না। যখন যে কাজ পারত, তখন সেটা করত। অর্থনৈতিক অভাবের কারণে মানসিক অশান্তিতে ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই সে আত্মঘাতী হয়।
পরিবারে স্ত্রী ও এক সন্তানও রয়েছে প্রসেজিৎ মজুমদারের। বর্তমানে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে রয়েছে দেহ। সেখান থেকে নাকাশিপাড়া থানা হয়ে দেহ পাঠানো হবে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর পুলিস মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করছে নাকাশিপাড়া পুলিস।