Nagrakata: ছেলেকে বাঁচাতে চিতাবাঘের সামনে ঝাঁপ বাবার, জীবনবাজি রেখে লড়াই
ছেলের প্রাণ বাঁচাতে নিজের জীবনের পরোয়া না করে চিতাবাঘের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সুরজ লোহারা নামে এক ব্যক্তি। জীবন বাজি রেখেই এই কাজ করেন তিনি।
![Nagrakata: ছেলেকে বাঁচাতে চিতাবাঘের সামনে ঝাঁপ বাবার, জীবনবাজি রেখে লড়াই Nagrakata: ছেলেকে বাঁচাতে চিতাবাঘের সামনে ঝাঁপ বাবার, জীবনবাজি রেখে লড়াই](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/16/367989-leopard.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের জীবন যায় যাক, সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। এই প্রবাদ তো চিরকালের। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটল নাগরাকাটায়। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে নিজের জীবনের পরোয়া না করে চিতাবাঘের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সুরজ লোহারা নামে এক ব্যক্তি। জীবন বাজি রেখেই এই কাজ করেন তিনি। লক্ষ্য ছিল একটাই। সন্তানের প্রাণ বাঁচানো।
ঠিক কী ঘটেছে?
মঙ্গলবার রাতে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগানের মডেল ভিলেজের সামনে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা-বাগানের বাসিন্দা সুরজ লোহারা সাইকেলে করে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই পেছন থেকে হামলা চালায় একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। চিতাবাঘের আক্রমণে রাস্তার মধ্যে ছিটকে পড়ে যায় বাবা ও ছেলে।
এরপর চিতাবাঘের হানায় জখম হন বাবা সুরজ লোহার। কিন্তু ছেলে ততক্ষণে চিতার কবলে। সেই সময় সুরজ জখম অবস্থায় ৫ বছরের ছেলে অনুষের প্রাণ বাঁচাতে চিতাবাঘের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু করে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ চিতাবাঘের সাথে সুরজের হাতাহাতিও চলে। অবশেষে চিতাবাঘটি চা-বাগানেরর ঝোপে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
এরপর সুরজকে আহত অবস্থায় সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে বাঁচাতেই চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করতে হয়।’ বন দফতরের খুনিয়া রেঞ্জের বিট অফিসার জয়দেব রায় জানান, সুরজের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বন দফতর বহন করছে। নাগরাকাটার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুপর্ণ হালদার জানান, আহত ব্যাক্তির চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, Weather Today: বসন্তে গরম বাড়ছে তিলোত্তমায়, আরও কি বাড়বে তাপমাত্রা?