'এই মাইনেয় সংসার চলে না', অভাবের তাড়নায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী পার্শ্বশিক্ষক
পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ দাবি করেছেন, এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮৪ জন পার্শ্বশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চাকরির বয়স পেরিয়েছে ১৫ বছরের উপর। দীর্ঘ ১৬-১৭ বছরের উপর ধরে চাকরি করছিলেন তিনি। ছাত্র পড়িয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ চাকরিজীবনেও এতটুকু সুদিনের মুখ এখনও দেখতে পাননি। সংসারে আসেনি স্বচ্ছলতা। অর্থকষ্ট, অভাবের তাড়না নিত্যসঙ্গী। এই পরিস্থিতিতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক পার্শ্বশিক্ষক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃতের নাম দুলাল চন্দ্র দাস। বয়স ৫০ বছর। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা দুলালবাবু ২০০৪ সালে পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হন। তারপর দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। স্থায়ী চাকরি তো দূরের কথা, বেতনও যত্সামান্য। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, যা আয় হত, তাতে করে সংসার চলত না। তারমধ্যে শারীরিকভাবে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে কয়েকদিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানি চলে। শেষমেশ রবিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় দুলালবাবুর। পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ দাবি করেছেন, এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮৪ জন পার্শ্বশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন, একশো পার করে পরলোকে দিদা, দিঘায় নেচে-গেয়ে শেষযাত্রায় নাতি-নাতনিরা
এঘটনায়, পার্শ্বশিক্ষকদের ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বাক ভোগীরথ ঘোষ বলেন, "যা মাইনে পাই তাতে সংসার চলে না আমাদের।" প্রসঙ্গত, আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন ১১,৩০০ টাকা। আর প্রাইমারির ক্ষেত্রে বেতন ৮,৮০০ টাকা। তিনি আরও বলেন, "আজকে ২৪ দিন ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে বিকাশ ভবনের সামনে।"
এপ্রসঙ্গে বলে রাখি, ২০১১ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "ধাপে ধাপে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী করা হবে। বেতন কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হবে।"