Bhangar: ফেসবুক পোস্ট থেকে মিলল সূত্র, ভাঙড়ে উদ্ধার বোমা তৈরির বস্তা বস্তা সামগ্রী
সন্ধেয় নবিরুল মোল্লার বড় ছেলে সামসুল মোল্লা ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে। সেখানে একটি বোম ও গুলি দেখা যায়। সেখান থেকেই কাশীপুর থানার পুলিসের সন্দেহ হয় কোথা থেকে এল ওই বোমা। এদিনই রাতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ নবিরুলের বাড়িতে এসে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিস।
প্রসেনজিত্ সরদার ও দেবারতি ঘোষ: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভাঙড় থেকে পুলিস উদ্ধার করল বোমা তৈরির বস্তা বস্তা সামগ্রী। পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে ২ জন। বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের কাশীপুরের নাটাপুকুর আখের পাড়ায় হানা দেয় কাশীপুর থানার পুলিস। নবিরুল মোল্লা নামে এক জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১১ কোজি বারুদ, ৫ কেজি বিশেষ রংয়ের পাউডার। সাড়ে চার কেজি দড়ি-সহ লোহার নাট বল্টু ও অন্যান্য সামগ্রী। এছাড়াও নবিরুলের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে সকেট বোমা তৈরির যন্ত্রাংশ ও বোমার মশলা। উদ্ধার হয়েছে ১০টি মোবাইল ফোন।
আরও পড়ুন-'ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে'; ২৪ ঘণ্টায় ১৮৩ ভুয়ো সুপারিশ প্রাপ্তের তালিকা দিন, নির্দেশ হাইকোর্টের
পুলিসের সন্দেহ ধৃতের বাড়ি থেকে বোমা তৈরির ব্যবসা চলতো। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সে অস্ত্র তৈরির কাজেও লেগেছিল। তাই বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল ওই বিপুল মশলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই বিপুল বোমা তৈরির মশলা উদ্ধারে তাজ্জব পুলিস। আয়োজন দেখে মনে হয় একেবারে বোমা তৈরির ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল অভিযুক্ত।
নবিরুলের নবনির্মিত বাড়িতে আসবাব বলতে তেমন কিছুই নেই। গোটা বাড়িজুড়ে বারুদের স্তূপ হয়েছিল। যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটতো তাহলে গোটা এলাকাজুড়েই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে য়েতে পারতো। পুলিসের দাবি, ওই বাড়িতে সকেট বোমা তৈরি করা হতো।
গতকাল সন্ধেয় নবিরুল মোল্লার বড় ছেলে সামসুল মোল্লা ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে। সেখানে একটি বোম ও গুলি দেখা যায়। সেখান থেকেই কাশীপুর থানার পুলিসের সন্দেহ হয় কোথা থেকে এল ওই বোমা। এদিনই রাতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ নবিরুলের বাড়িতে এসে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিস। ঘরে ঢুকেই চোখ কপালে ওঠে পুলিসের। দেখা যায় ঘরের মধ্যে থরে থরে সাজানো হয়েছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম। নবিরুল ইলেকট্রিকের কাজ করে। তার বাড়িতে এই বিপুল বোমা তৈরির সরঞ্জাম কেন?
নবিরুলের ছোট ছেলে জানায়, সম্প্রতি এলাকার আইএসএফের লোকেরা বাবার উপরে চাপ সৃষ্টি করিল। ওদের দাবি আইএসএফ করতে হবে। আমার নামে মিথ্যে মামলাও দেওয়া হয়। পুলিস এসেছিল ঘরে। এর জন্য জেলেও যেতে হয়েছিল আমাকে। তার পরেও তা থামেনি ওরা আমাদের বাড়িতে বিস্ফোরণের মশলা মজুত করতো। ভয়ে আমরা পুলিসকে এনিয়ে কিছু জানাতে পারিনি।
এলাকার এক আইএসএফ কর্মী বলেন, ওরা টিএমসি করে। ৬ মাস আগে থেকেই ওরা আমাদের এখানে বোমা ফেলছে। পুলিস এখন ঠিক জায়গায় চলে এসেছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, নবিরুল মোল্লা একজন আইএসএফের নেতা। বিপুল বোমা বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। একেবারে নক্কারজনক ঘটনা। পঞ্চায়েতে ভোটের আগে এভাবে বোমা-বন্দুক মজুত করা হচ্ছে। এর নিন্দা করছি।