Arambagh: ছাত্র মাত্র ২ জন, সারাদিন তাদের পথ চেয়ে বসে থাকেন এই স্কুলের ২ শিক্ষক
নারায়ণপুরের মানুষের আবেদনে ২০১১ সালে এই জুনিয়র হাইস্কুলটি খোলা হয়
দিব্যেন্দু সরকার: স্কুলে একমাত্র শিক্ষকদের ঘর খোলা। বাকী সব ঘর তালাবন্ধ। পড়ুয়ারা এলে তবেই খুলবে ক্লাস রুম। ছাত্র মাত্র ২ জন। তাদের জন্যই রাস্তার দিকে দিনভর তাকিয়ে বসে থাকেন স্কুল ২ শিক্ষক। এভাবেই চলছে আরামবাগে বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুল।
পড়ুয়া নেই। স্কুল চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মদের বোতল। খাঁ খাঁ করছে গোটা স্কুল। নিয়ম করে ২ শিক্ষক ও ১ গ্রুপ ডি কর্মী স্কুলে আসেন। আবার নিয়ম করে স্কুলে তালা দিয়ে বাড়ি চলে যান।
নারায়ণপুরের মানুষের আবেদনে ২০১১ সালে এই জুনিয়র হাইস্কুলটি খোলা হয়। গ্রামের মানুষজন চেয়েছিলেন তাদের ছেলেমেয়েরা যেন গ্রামেই পড়াশোন করতে পারেন। ২০১৫ সালে এই স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৭৩। শিক্ষকের অভাব থাকায় পড়শোনা ঠিকঠাক হচ্ছিল না বলে দাবি গ্রামবাসীদের। ২০১৮ সাল থেকে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ২০২২ সালে পড়ুয়ার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ জন। তারাও আবার স্কুলে আসে না।
করোনার সময় লকডাউনে স্কুলের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। খাতায় -কলমে থাকা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সূর্য মালিক ট্রলি চালায়। আর অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অতনু রায় তার বাবার সঙ্গে বাজারে সবজি বিক্রি করে। বহুবার শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বোঝালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে আসেন। দরজা-জানলা খুলে স্কুলে বসে থাকেন আর বাড়ি ফিরে যান। এভাবেই চলছে এই স্কুল।