Subhadip Pal | Madan Mitra: বাড়ি ফিরল শুভদীপের নিথর দেহ, শোকস্তব্ধ পরিবার
ভোররাতে কলকাতা থেকে শুভদীপের মৃতদেহ আনা হয় গ্রামের বাড়িতে। গত ১৮ মে মোটরবাইকে দুর্ঘটনা ঘটে কলকাতায়। দুর্ঘটনায় আহত হন শুভদীপ পাল ও তার বন্ধু। আহত শুভদীপকে উদ্ধার করে পুলিস এনআরএস মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
![Subhadip Pal | Madan Mitra: বাড়ি ফিরল শুভদীপের নিথর দেহ, শোকস্তব্ধ পরিবার Subhadip Pal | Madan Mitra: বাড়ি ফিরল শুভদীপের নিথর দেহ, শোকস্তব্ধ পরিবার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/24/422177-subhadip-pal.png)
চম্পক দত্ত: শুভদীপের মৃতদেহ অবশেষে ফিরেছে গ্রামের বাড়িতে। এরপরেই শোকাচ্ছন্ন গ্রাম। চন্দ্রকোনার যুবক এই শুভদ্বীপ পালকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করাতে গিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
ভোররাতে কলকাতা থেকে শুভদীপের মৃতদেহ আনা হয় গ্রামের বাড়িতে। গত ১৮ মে মোটরবাইকে দুর্ঘটনা ঘটে কলকাতায়। দুর্ঘটনায় আহত হন শুভদীপ পাল ও তার বন্ধু। আহত শুভদীপকে উদ্ধার করে পুলিস এনআরএস মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। বাড়ির লোকেরা খবর পেয়ে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে ডাক্তারদের পরামর্শ মত নিউরো মেডিকেল সাইন্সে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন:
সেখান থেকে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সহযোগিতায় পিজিতে ভর্তি করানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ ছিল দীর্ঘ ৫ ঘন্টার চেষ্টাতেও শুভদীপকে মদন মিত্র পিজিতে ভর্তি করতে পারেনি। এমনকি ঘটনাচক্রে শুভদীপ পালকে ভর্তি করাতে গিয়ে মদন মিত্রকে নামে এফআইআর করে পিজি কর্তৃপক্ষ।
ঘটনায় শোরগোল পরে গোটা রাজ্যে। বাধ্য হয়ে শুভদীপের বাড়ির লোকেরা পুনরায় মদন মিত্রের প্রচেষ্টায় আবার নিউরো সাইন্সে ভর্তি করেন। অভিযোগ ছিল বিনা চিকিৎসায় ট্রমা অবস্থায় শুভদীপকে ৫ ঘন্টা পিজি হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
সবশেষে মঙ্গলবার ২৩ মে শুভদীপের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার মধ্যরাত্রে শুভজিৎ-এর মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। এলাকার মিশুকে রণজিৎ পালের একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ।
শুভজিতের গ্রামের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকানার মানিককুণ্ড গ্রামে। জানা যায় খুবই দারিদ্র্যের সঙ্গে চাষবাস করে রনজিৎ পাল বাড়ির একমাত্র ছেলেকে মানুষ করেছিলেন। বর্তমানে শুভজিৎ ছিলেন বাড়ির একমাত্র রোজগেরে। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে বাড়ির একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।