আড়াই লক্ষ টাকা সুপারি নিয়েছিল কালা মুন্নারা, টিটাগড়ে তৃণমূলকর্মী খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিসকে ভোলা জানিয়েছে, এলাকায় প্রোমোটিং সিন্ডিকেটের যে একচ্ছত্র রাজত্ব সে কায়েম করেছিল, সম্প্রতি তাতে ভাগ বসাতে চাইছিলেন কাউন্সিলর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টিটাগড়ে তৃণমূল কর্মী খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়। সতীশ মিশ্রকে খুন করতে মোট আড়াই লক্ষ টাকা সুপারি নিয়েছিল কালা মুন্না, ভোলাপ্রসাদরা। ২০ হাজার টাকা তাদের অগ্রিম দেওয়া হয়। তারপরই তারা ‘অপারেশন’এ নামে। ধৃতদের জেরায় এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিস। তবে সুপারি কে দিয়েছিল, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
টিটাগড় গুলিকাণ্ডে সামনে এল খুনের মোটিভ। মঙ্গলবার রাতভর জেরা করা হয় টিটাগড় গুলিকাণ্ডে ধৃত ভোলাকে। জেরায় ভোলা স্বীকার করে যে, খুনের পিছনে রয়েছে প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদ।
আরও পড়ুন: প্রেমিকা অন্য যুবকের হাত ধরে পার্কে ঘুরছে, শাস্তি দিতে প্রেমিক বন্দুক নিয়ে যেতেই হেসে ফেললেন সকলে!
পুলিসকে ভোলা জানিয়েছে, এলাকায় প্রোমোটিং সিন্ডিকেটের যে একচ্ছত্র রাজত্ব সে কায়েম করেছিল, সম্প্রতি তাতে ভাগ বসাতে চাইছিলেন কাউন্সিলর। কাউন্সিলর নিজে সরাসরি এ বিষয়ে কথাবার্তা না চালিয়ে তার ডান হাত বলে পরিচিত সতীশকে বারবার ভোলার কাছে পাঠাতেন। সিন্ডিকেট দখলদারির আশঙ্কা থেকেই ষড়যন্ত্রের প্রাথমিক ছক কষা হয়। প্রথমে সুপারি কিলার ভাড়া করে হত্যার ছক করা হলেও, পরে নানা দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত বদল করে ভোলা।
আরও পড়ুন: “মা তোমার ছোটো ছেলেকে মেরে ফেললাম”
পুরনো অপরাধী পুলিসের হাতে তাড়াতাড়ি ধরা পড়ার সম্ভবনা থাকে। কারণ এদের ট্র্যাক রেকর্ড আগে থেকেই পুলিসের খাতায় থাকে। সেক্ষেত্রে খুনের মামলা নেই এমন কোনও ছোটখাট অপরাধীকে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে এই কাজ করানো অনেক বেশি নিরাপদ বলেই মনে করেছিল ভোলা। তার সঙ্গে যোগাযাগ হয় কালা মুন্না ও শেখ সমীরের। পরে সেই দলে যোগ দেয় সঞ্জয় দাস। চার জন মিলে মণীশকে খুনের ছক কষে। কিন্তু ঘটনাস্থলে মণীশ থাকলেও প্রচুর লোকজন থাকায় ঘাবড়ে যায় মুন্না। ঘটনাচক্রে তখনই কাজ থেকে বাড়িতে টিফিন খেতে ফিরছিলেন সতীশ। তাঁকেই হাতের কাছে পেয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়।