নবান্ন অভিযানে ১১কোটি! কোথা থেকে আসছে এত টাকা? প্রশ্ন জাগোবাংলায়
তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমাদের মুখপত্র জাগোবাংলায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে এবং এর অধিকাংশ সূত্রই বিজেপি-র অন্দর মহলের যারা প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত।নবান্ন অভিযান নতুন কোনও বিষয় নয়। যে কোনও দল তা করতে পারে। বিজেপি সাত তারিখে এটা করতে গিয়েছিল কিন্তু লোকজন হয়নি। তাই ওরা বাতিল করে। এরপর ওরা আবার নতুন করে করেছে। জাগোবাংলার সাংবাদিকরা সেখান থেকে খবর পেয়েছেন যে বিজেপি মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে তাঁদের লোক আছে তা দেখানোর’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সামনেই বিজেপির নবান অভিযান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির ক্রমাগত আক্রমণের মুখেই এবার পালটা আক্রমণ শাসকদলের। নিজেদের মুখপত্র জাগোবাংলায় সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপিকে। বলা হয়েছে আসন্ন নবান্ন অভিজানে বিজেপির খরচ ১১ কোটি টাকা অন্যদিকে কিছুদিন আগেই বৈদিক ভিলেযে হয়ে যাওয়া বিজেপি-র প্রশিক্ষণ শিবিরের খরচ ছিল তিন কোটি টাকা। কোথা থেকে আসছে এত টাকা? তৃনমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায় এই প্রশ্নই করা হয়েছে।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রয়েছে বিজেপি-র নবান্ন অভিযান। সেই নবান্ন অভিযানের মোট খরচ ১১ কোটি টাকা। এবং কোথায় কী খাতে খরচ হচ্ছে তা পুর্নাঙ্গভাবে তুলে ধরা হয়েছে জাগোবাংলায়। ট্রেন ভাড়া থেকে শুরু করে বাস ভাড়া, খাওয়া, ব্যানার, পোস্টার, হোর্ডিং থেকে শুরু করে বাইরে থেকে লোক আনা সব মিলিয়ে ১১ কোটি টাকার এই খরচের হিসাব দেখান হয়েছে এখানে।
পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে যে কয়েকদিন আগেই বৈদিক ভিলেজে বিজেপি-র যে প্রশিক্ষন শিবির হয়েছিল সেখানে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। এই কয়েকদিনে প্রায় ১২-১৩ কোটি টাকা ক্রছ করছে বিজেপি মাত্র দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য। কোথা থেকে এত টাকা আসছে সেই প্রশ্নই তুলেছে তৃনমূল কংগ্রেস।
তাঁদের অভিযোগ প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় হানা দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। তৃনমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের বাড়িতে যাচ্ছে তারা। অথচ মাত্র দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এট টাকা খরচ হলেও কেন খোঁজ নিচ্ছে না ইডি এবং সিবিআই, কোঠা থেকে আসছে এত টাকা সেই প্রশ্ন করছেন তারা।
আরও পড়ুন: Garden Reach: ১৪ ঘণ্টায় ১৭ কোটি পার! গার্ডেনরিচে শেষ ইডি-র ম্যারাথন তল্লাশি
তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমাদের মুখপত্র জাগোবাংলায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে এবং এর অধিকাংশ সূত্রই বিজেপি-র অন্দর মহলের যারা প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত।নবান্ন অভিযান নতুন কোনও বিষয় নয়। যে কোনও দল তা করতে পারে। বিজেপি সাত তারিখে এটা করতে গিয়েছিল কিন্তু লোকজন হয়নি। তাই ওরা বাতিল করে। এরপর ওরা আবার নতুন করে করেছে। জাগোবাংলার সাংবাদিকরা সেখান থেকে খবর পেয়েছেন যে বিজেপি মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে তাঁদের লোক আছে তা দেখানোর’।
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা করতে গিয়ে দুটি মারাত্মক জিনিস আসছে। প্রথমত বিপুল খরচ হচ্ছে এবং দুই, এই সময়টায় কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আনা হয়েছে এবং তারা সিভিলে ওদের সঙ্গে হাঁটবে। এখন কেন্দ্রীয় সংস্থা ওদের হাতে থাকায় সিবিআই এখন এইসব দেখতে পাচ্ছে না’।