Basanti TMC: স্কুল ফাঁকি দিয়ে রাজনীতি? তৃণমূল নেত্রীর কীর্তিতে বিপাকে পড়ুয়ারা
বাসন্তী হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা শংকরী মণ্ডল। তিনি আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্যও। কেন নিয়মিত স্কুলে যান না? তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিধায়ক।
প্রসেনজিৎ সরদার: রাজনীতিতে বেজায় ব্যস্ত? নিয়মিত স্কুলে আসেননি শিক্ষিকা! অভিযোগ খোদ প্রধানশিক্ষকেরই। বিপাকে পড়েছে পডুয়ারা। কেন এমন ঘটনা? তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিধায়ক। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষিকা। ঘটনাস্থল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী।
জানা গিয়েছে, বাসন্তী হাইস্কুলের শিক্ষিকা শংকরী মণ্ডল। স্কুলে ইংরেজি পড়ান তিনি। রাজনীতিও করেন সমান তালে। স্রেফ তৃণমূল নেত্রী নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদেরও সদস্য় শংকরী। পড়ুয়াদের অভিযোগ, বেশিরভাগ দিনই স্কুলে আসেন না ইংরেজির শিক্ষিকা। এমনকী, এলেও ঠিকমতো ক্লাস নেন না! ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। প্রধানশিক্ষককে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে নিয়েছেন প্রধানশিক্ষকও। তাঁর বক্তব্য, শংকরী মণ্ডল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। জেলা পরিষদের একজন সদস্য তিনি। সেকারণেই মাঝেমধ্যে স্কুলে আসেন না। স্কুল ফাঁকি দিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ মানতে নারাজ বাসন্তী হাইস্কুলের ওই শিক্ষিকা। শংকরী মণ্ডলের দাবি, 'আমি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য। মাঝেমধ্যে স্কুলের যেতে পারি না ঠিকই। তবে আগে থেকে প্রধানশিক্ষককে চিঠি দিই'। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সভাপতিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল।
আরও পড়ুন: WATCH: পরনে ইউনিফর্ম, ক্লাসরুমে হিন্দির গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচ পড়ুয়াদের
এদিকে পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়া আবার স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। কাঠগড়ায় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। সরকারি নিয়মে প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের পোশাক বিলি করার কথা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিংবা স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কিন্ত সেই নিয়ম আর মানছে কে! অভিযোগ, কাটোয়া এক নম্বর ব্লকে জগদানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকায় স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকে পোশাক কিনে নিচ্ছেন তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারাই! তারপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লেবেল লাগিয়ে, অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সেই পোশাক পড়ুয়াদের বিলি করছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহম্মদ আবু বক্কর অবশ্য দাবি, 'পোশাক বিলি নিয়ে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সিপিএমের কাজ অভিযোগ করা তাই করেছে। যদি আমাদের সংগঠনের কোনও সদস্য এই কাজে জড়িয়ে থাকে, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' অন্যদিকে, কাটোয়া পূর্ব চক্রের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি শ্রীধর ভট্টাচার্যও বলেন, 'যদি আমাদের সংগঠনের কোনও নেতা এই জঘন্য কাজে জড়িয়ে থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলকে বলব'।