ট্যুইটার কর্মীদের লাঞ্চের জন্য বছরে খরচ ১০০ কোটি! তাও বন্ধ করতে চলেছে এলন?
ট্যুইটারে এলন মাস্ক লিখেছেন, প্রতি বছর কর্মীদের জন্য খাবারের দাম চোকাতে হচ্ছে কোটি টাকা। সম্প্রতি জানা গেছে যে নতুন ট্যুইটার কর্তা কর্মচারীদের দুপুরের খাবারের জন্য এবার টাকা দিতে বলেছেন। যা স্যোশাল মিডিয়া জায়ান্ট এতদিন পর্যন্ত বিনামূল্যে দিয়ে থাকত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এলন মাস্ক ট্যুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে হেডকোয়ার্টারে একের পর এক চমক। একাধিক নিয়মে বদল এনেছেন ট্যুইটারের মালিক। এবারে কর্মীদের দুপুরের খাওয়ার খরচের হিসাব গোনালেন তিনি। ট্যুইটারে এলন মাস্ক লিখেছেন, প্রতি বছর খাবারের দাম চোকাতে হচ্ছে কোটি টাকা। সম্প্রতি জানা গেছে যে নতুন ট্যুইটার কর্তা কর্মচারীদের দুপুরের খাবারের জন্য এবার টাকা দিতে বলেছেন। যা স্যোশাল মিডিয়া জায়ান্ট এতদিন পর্যন্ত বিনামূল্যে দিয়ে থাকত। ট্যুইটার ইউজাররা মাস্কের সমালোচনা করা শুরু করলে তার পরিস্কার বার্তা, কর্মীদের দুপুরের খাবারের জন্য অনেক টাকা দিতে হচ্ছে কোম্পানিকে এবং প্রায় কেউই অফিসে আসত না, ফলে বেশিরভাগ খাবার নষ্ট হত।
আরও পড়ুন, 'কিছু পদের আর প্রয়োজন নেই', আমাজনে শুরু গণ-ছাঁটাই
একজন প্রাক্তন ট্যুইটার কর্মী বলেছেন যে এলনের দাবি সত্য নয় এবং কর্মীরা প্রতিদিন দুপুরের খাবারের জন্য ২০ থেকে ২৫ ডলার খরচ করে। তিনি আরও দাবি করেন যে অফিসে উপস্থিতির হার ২০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে এ বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছেন মাস্ক। অবশেষে এই বিলিয়নিয়ার বলেন, সানফ্রান্সিসকোতে যারা আছেন তাদের জন্য কোম্পানি বছরে প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করে। ভারতে খরচ প্রায় ১ বিলিয়ন। মাস্ক- এর আগে দাবি করেছিলেন যে খাবারের দাম ১২ মাসের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩২,০০০ টাকা)। যদিও প্রতিদিন দুপুরের খাবারের এত দাম অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এলন দাবি করেন যে তিনি তথ্যের উরক ভিত্তি করেই জানাচ্ছেন।
এলন মাস্ক আরও বলেন, “রেকর্ডের ব্যাজ্জে দেখা যায় যে, সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ এবং গড় ১০ শতাংশের নিচে দুপুরের খাবার খায় কর্মীরা। সকালের খাবার বানানো জন্য বেশি লোক থাকে কারণ ব্রেকফাস্টই করেন সবথেকে বেশি সংখ্যায় কর্মী। তাঁরা রাতের খাবার নিয়ে চিন্তাই করেন না, কারণ তখন অফিসে প্রায় কেউ থাকে না। এটা মূলত ইঙ্গিত করে যে মাস্ক যা বলছিলেন যে, বেশিরভাগ খাবারই নষ্ট হয়ে যায় কর্মীরা অফিসে থাকেন না।
তবে এলনের এই সিদ্ধান্তে কেউ খুব একটা বিস্মিত নন। কারণ বিগত কয়েক সপ্তাহে কোম্পানীর খরচ কমাতে বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছেন। পুরো বোর্ড অফ ডিরেক্টরসকেও বরখাস্ত করেছেন। কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে হিসেবনিকেষ করে ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছেন মাস্ক।
আরও পড়ুন, নতুন নিয়ম, মোবাইলে ফোন করলেই দেখাবে নাম-ধাম এবং...