WhatsApp চ্যাটে নজরদারি চালাতে চায় কেন্দ্র, বিস্ফোরক দাবি সংস্থার
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে, এমনটাই জানাল হোয়াটসঅ্যাপ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে, এমনটাই জানাল হোয়াটসঅ্যাপ। যে শর্ত দেওয়া হয়েছে ফেসবুকের মালিকাধীন এই সংস্থাকে সেখানে এনক্রিপশনও কমে যাবে, যার ফলে গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হবে ব্যবহারকারীদের।
হোয়াটসঅ্যাপ যে নতুন প্রাইভেসি আইন চালু করার কথা বলেছিল তার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার নতুন আইটি বিধিগুলির জন্য আদালতে লড়াই করছে। হোয়াটসঅ্যাপ জানায় যে সরকারের এই শর্ত যদি মানা হয় তাহলে বিপদের মুখে পড়বে ব্যবহারকারীদের চ্যাট। ব্রাজিলেও একই সমস্যার মধ্যে রয়েছে এই সংস্থায়। অন্যদিকে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাও এনক্রিপশন কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন, থাকবে দুটি ক্যামেরা, করা যাবে ভিডিয়ো; Facebook Smartwatch-এর সুবিধাগুলো জেনে নিন
হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান উইল ক্যাথকার্ট বলেন, "এই কাজ করার অর্থ হল দেশের প্রতিটি লিভিংরুমে একটি ভিডিও ক্যামেরা বসিয়ে দিতে চাইছে সরকার। যাতে তারা কোনও অপরাধের তদন্ত করার সময় সরকার এটিকে চালু করতে পারে।" দ্য গার্ডিয়ান সংবাদমাধ্যকে তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষ প্রাইভেসি নিয়ম শুনে আতঙ্কিত হচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছে না সরকারের নিয়ম কতটা খারাপ হবে।"
হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান এও জানান যে, আপডেট হওয়া প্রাইভেসি নীতিতে কখনই ব্যক্তিগত চ্যাটগুলি প্রকাশ্যে আনা হবে না। আপডেটের সঙ্গে চ্যাটের গোপনীয়তা কোনওভাবেই পরিবর্তিত হয়নি। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো হোয়াটসঅ্যাপেও ইউজাররা সম্মতি দিলেই তবে ব্যবহারকারীদের ডেটা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে হোয়াটসঅ্যাপ এমনটাই জানান হয়েছে।