সুরক্ষিত সোশ্যাল অ্যাপ আনছে অরকুট
"বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। যেখানে পরষ্পরকে কাছে আনার প্রয়োজন সেখানে বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়াগুলো মানুষের মধ্যেকার সম্পর্কের বাঁধনকে আরও আলগা করে দিচ্ছে। হ্যালো এমন কিছু ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ যেমন বাড়বে তেমনই আত্মিক সম্পর্কও গড়ে উঠবে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: তখন ফেসবুকের রমরমা ছিল না, ভারতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে অরকুট। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের অ্যাপে হিসেবে অরকুটের জনপ্রিয়তা তখন ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু ২০১৪ সালে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় অরকুট। এবার সেই অরকুটই ফিরছে নতুন ভাবে, যার পোশাকি নাম 'হ্যালো'।
২০০৪ সালের গুগলের যে কর্মী অরকুট বানিয়েছিলেন, তিনিই নিয়ে আসছেন 'হ্যালো' নামের নতুন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অ্যাপলিকেশন। নাম না করে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অরকুট নির্মাতা জানিয়েছেন, "বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। যেখানে পরষ্পরকে কাছে আনার প্রয়োজন সেখানে বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়াগুলো মানুষের মধ্যেকার সম্পর্কের বাঁধনকে আরও আলগা করে দিচ্ছে। হ্যালো এমন কিছু ভাবনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ যেমন বাড়বে তেমনই আত্মিক সম্পর্কও গড়ে উঠবে।"
ইতিমধ্যেই ব্রাজিলে সফল 'হ্যালো'। ২০১৬ সালে লাতিন আমেরিকার এই দেশেই হ্যালো অ্যাপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার 'হ্যালো'কে ভারতে চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এই সোশ্যাল অ্যাপলিকেশনের নির্মাতা।
সম্প্রতি ফেসবুক যেভাবে বেআব্রু হয়েছে তাতে 'হ্যালো' ভারতে চটজলদি জনপ্রিয়তা পাবে বলেই মত গ্যাজেট গুরুদের একাংশের। প্রসঙ্গত, কেম্ব্রিজ অন্যালিটিকা তথ্যফাঁস কাণ্ডে বিশ্বজুড়ে বিপাকে ফেসবুক। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মার্কিন আইনসভার ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয়েছে ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গকে। তথ্য চুরির দায় নিজের মাথায় নিয়েছেন ফেসবুককর্তা। এমন অবস্থায় ভারতবাসী সুরক্ষিত সোশ্যাল অ্যাপ উপহার দিতে আসরে নেম পড়েছে অরকুট।