আজ ইরানকে হারালেই নক আউটে আর্জেন্টিনা, মেসি দিবসের অপেক্ষায় বিশ্ব
আজ ইরানকে হারালই নক আউটে আর্জেন্টিনা, মেসি দিবসের অপেক্ষায় বিশ্ব
---------------------------------------------------
শুক্রবার ইরানের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ জিতলেই নক আউটে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলবে আলেয়োন্দ্রো সাবেয়ার দল। ইরানের বিরুদ্ধে চার-তিন-তিন ছকে দল নামাতে চলেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এই স্ট্র্যাটেজিতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন মেসি। আগের ম্যাচে নাইজেরিয়াকে আটকে দিয়েছিল ইরান। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে প্রস্তুত এশিয়ার এই দেশটি।
বসনিয়াকে হারাবার পর আর্জেন্টিনার এবার মিশন ইরান। এশিয়ার এই দেশটিকে হারাতে পারলেই নক আউটে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলবে সাবেয়ার দল। প্রথম ম্যাচে বসনিয়াকে ২-১ গোলে হারালেও নজর কাড়তে পারেননি মেসিরা। তাই গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে স্ট্র্যাটেজি বদলে ছন্দে ফিরতে মরিয়া দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচে ডিফেন্সকে শক্তিশালী করতে ৫-৩-২ ছকে দল নামিয়েছিলেন মেসিদের কোচ।
যা মোটেই খুশি করতে পারেনি দলনেতাকে। কম কথা বলার লোক মেসিও স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন প্রতিবন্দ্বীরা কীভাবে খেলেন,সেদিকে মাথা না দিয়ে তাঁরা কীভাবে খেলতে পারেন,সেদিকেই নজর দেওয়া উচিত। দলের সেরা তারকাকে হাতে রাখতে দ্রুত স্ট্র্যাটেজি বদলে ফেলছেন সাবেয়া। ইরানের বিরুদ্ধে চার-তিন-তিন ছকে দল নামাতে চলেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এই স্ট্র্যাটেজিতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন মেসি। এমনিতেই আটবছর পর বিশ্বকাপে গোল পেয়ে খোশ মেজাজে রয়েছেন আর্জেন্টিনীয় তারকা। জাতীয় দলের হয়ে সাতাশি ম্যাচে উনচল্লিশ গোল করা হয়ে গেছে তাঁর।
গোল পেয়ে যাওযা মেসি যে সবসময়ই ভয়ঙ্কর,তা মানছেন বিপক্ষ কোচ কার্লোস কুইরোজও। তাই প্রাক্তন পর্তুগাল কোচের কাছে আর্জেন্টিনীয় সুপারস্টারকে আটকানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। আগের ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামলেও ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভবত শুরু থেকেই খেলবেন হিগুয়েন। আগের ম্যাচে নাইজেরিয়াকে আটকে দিয়েছিল ইরান। কোয়ালিফাইং রাউন্ডেও এই দলটার রেকর্ড এককথায় অনবদ্য। ইরান মূল শক্তি তাদের ডিফেন্স।
তবে ইরানের ফুটবলার-রাও মানছেন যে আগের ম্যাচগুলোর সঙ্গে শনিবারের রাতের ম্যাচকে তুলনা করা ঠিক হবে না। কেননা মেসি একজন জিনিয়াস। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ইরানের ভাল ফল করা পুরোটাই নির্ভর করছে অধিনায়ক জাভাদের উপর। জাতীয় দলের হয়ে একশো একচল্লিশ ম্যাচ খেলা জাভাদের উপরই থাকবে মাঝমাঠে খেলা তৈরি করার দায়িত্ব।
আর্জেন্টিনা আর ইরান---এই দুটি দল এর আগে মাত্র একবার মুখোমুখি হয়েছে। সেই ম্যাচটি অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল। মারাদোনার মতই সাম্প্রতিক সময়ে মেসিকে ঘিরেও সমর্থকদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও মেসি ম্যাজিক দেখার অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব।