আলজেরিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত ২৩ পণবন্দি, নিখোঁজ ২৪
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শেষ হল গত চারদিনের রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। আলজেরিয়ায় পণবন্দিদের মুক্ত করতে চূড়ান্ত আঘাত হানল সেনাবাহিনী। অ্যামেনাস গ্যাস ক্ষেত্রটিকে জঙ্গিমুক্ত করেছে তারা। ঘটনায় ২৩ জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে ৩২ জন জঙ্গিও। এখনও নিখোঁজ ব্রিটেন, নরওয়ে এবং জাপানের ২৪ জন নাগরিক। মালিতে জঙ্গি দমনে ফ্রান্সের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে আলজিরিয়ায় গ্যাস ক্ষেত্রের কর্মীদের পণবন্দি করা হয় বলে খবর।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শেষ হল গত চারদিনের রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। আলজেরিয়ায় পণবন্দিদের মুক্ত করতে চূড়ান্ত আঘাত হানল সেনাবাহিনী। অ্যামেনাস গ্যাস ক্ষেত্রটিকে জঙ্গিমুক্ত করেছে তারা। ঘটনায় ২৩ জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে ৩২ জন জঙ্গিও। এখনও নিখোঁজ ব্রিটেন, নরওয়ে এবং জাপানের ২৪ জন নাগরিক। মালিতে জঙ্গি দমনে ফ্রান্সের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে আলজিরিয়ায় গ্যাস ক্ষেত্রের কর্মীদের পণবন্দি করা হয় বলে খবর।
রাজধানী আলজিয়ার্স থেকে ১৩০০ কিলোমিটার দূরে সাহারা মরুভূমির অ্যামেনাস গ্যাস ক্ষেত্র। এখানে যৌথভাবে কাজের দায়িত্বে রয়েছে ব্রিটিশ বহুজাতিক সংস্থা বিপি, নরওয়ের সংস্থা স্ট্যাটঅয়েল ও আলজিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সোনাট্র্যাচ। ষোলোই জানুয়ারি কাজে যাওয়ার সময় কর্মীদের বাস আটকায় জঙ্গিরা। আলজিরিয়ার বাসিন্দা ও বিদেশি নাগরিকদের অ্যামেনাস গ্যাস ক্ষেত্রে পণবন্দি করে তারা। সতেরোই জানুয়ারি পণবন্দিদের মুক্ত করতে অভিযান শুরু করে আলজিরিয়ার সেনাবাহিনী। সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে কয়েকজন পণবন্দি পালাতে সক্ষম হন বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
শনিবার, অ্যামেনাস গ্যাস ক্ষেত্রে চূড়ান্ত আঘাত হানে সরকারি সেনা। সংঘর্ষ চলাকালীন এ দিনই সাত জন পণবন্দিকে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হয় তাদেরও। নিহত পণবন্দিদের অনেকেরই নাগরিকত্ব জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। গ্যাস ক্ষেত্রটির ছশো ৮৫ জন আলজিরিয়ান কর্মী ও ১০৭ জন বিদেশি নাগরিক নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে। পণবন্দিদের মুক্ত করতে সেনা অভিযানকে সমর্থন করেছেন ফ্র্যান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঁসোয়া অল্যাঁদ। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার ডেভিড ক্যামেরন। প্রতিবেশী দেশ মালিতে জঙ্গি দমনে ফ্রান্সের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে নাইজারের বাসিন্দা আবদুল রহমান অল-নাইজেরি নামে এক জঙ্গির নেতৃত্বে বিদেশি নাগরিকদের পণবন্দি করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।