আফগানিস্তানে খোলা বাজারে বিকোচ্ছে গণতন্ত্র, পাকিস্তানি মুদ্রায় ২০০-১০০০টাকা খরচ করতে পারলেই মিলছে ভোটার কার্ড
আফগানিস্তানে খোলা বাজারে বিকোচ্ছে গণতন্ত্র। পাকিস্তানি মুদ্রায় দুশো থেকে হাজার টাকা খরচ করতে পারলেই মিলছে ভোটার কার্ড। এই কালোবাজারি নিয়ে চিন্তিত বৈধ ভোটার থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সকলেই।
আফগানিস্তানে খোলা বাজারে বিকোচ্ছে গণতন্ত্র। পাকিস্তানি মুদ্রায় দুশো থেকে হাজার টাকা খরচ করতে পারলেই মিলছে ভোটার কার্ড। এই কালোবাজারি নিয়ে চিন্তিত বৈধ ভোটার থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সকলেই।
আফগানিস্তানে এভাবেই বিকোয় ভোটার কার্ড। অনেকটা সিনেমার টিকিট ব্ল্যাকের মতো। দুশো থেকে হাজার পাকিস্তানি টাকা। একটি ভোটার কার্ডের দাম মোটামুটি এরকমই। ভোট যত এগিয়ে আসে তত বাড়ে চাহিদা। আর তত বাড়ে দাম।
ভোটার কার্ডের এমন খুল্লমখুল্লা কারবার উদ্বিগ্ন বৈধ ভোটাররাও। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতায় ২০১৪ সালেই ফুরোচ্ছে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের মেয়াদ। এপ্রিলে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রাষ্ট্রনেতার দৌড়ে আছেন, প্রাক্তন নির্বাচনী পর্যবেক্ষর আজিজুল্লা লুদিন। ভোটার কার্ডের কালোবাজারি নিয়ে চিন্তিত তিনিও।
ভোটার কার্ডের কেনাবেচার অর্থ আফগান গণতন্ত্রই বিক্রি হচ্ছে। কোনও প্রার্থী যদি এভাবে জিততে চান, তাহলে বুঝতে হবে গণতন্ত্রের প্রতিই তাঁর আস্থা নেই।
২০১৪-এ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে গণতন্ত্র আদৌ টিকবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে পশ্চিমী বিশেষজ্ঞদের। ভোটার কার্ডের কালোবাজারি তাঁদের উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে।