Pakistan Economic Crisis: শ্রীলঙ্কার পথেই এগোচ্ছে পাকিস্তান! সামনে খারাপ দিন আসছে, হুঁশিয়ারি পাক অর্থমন্ত্রীর
পাক অর্থমন্ত্রী আজ বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ) এর আমলে দেশের বাজেট ঘাটতি ছিল ১৬০০ বিলিয়ন ডলার। গত ৪ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫০০ বিলিয়ন ডলার
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডলারের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এখন এক ডলারের মূল্য ২২৫.৬৫ পাকিস্তানি রুপি। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে বিপুল টাকার পণ্য। বিদেশি মূদ্রার অভাবে তেলের আমদানি এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিতে হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তাঁর হুঁশিয়ারি, খারাপ দিন আসছে। আগামী ৩ মাস বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির উপরের কড়াকড়ি বলবত থাকবে। শুক্রবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্চের এক অনুষ্ঠানে পাক অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের এই শোচনীয় আর্থিক পরিস্থিতির জন্য ইমরান খান সরকার দায়ী।ভেতরে ভেতরে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছিল যে জনতার ক্ষোভে দেশ ছাড়তে হয়েছে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে। সেই পরিস্থিতি না হলেও পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি যে খারাপ তা দেশের নানা মহল থেকে বারবারই বলা হচ্ছে। তবে তার দায় ইমরান খান সরকারের উপরে চাপিয়েছেন শাহবাদ শরিফ মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বন্দুক হাতে স্কুলে বহিরাগত যুবক! হুলস্থূল কাণ্ড পুরুলিয়ায়
পাক অর্থমন্ত্রী আজ বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ) এর আমলে দেশের বাজেট ঘাটতি ছিল ১৬০০ বিলিয়ন ডলার। গত ৪ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫০০ বিলিয়ন ডলার। এরকম পরিস্থতিতে কোনও দেশই উঠে দাঁড়াতে পারে না। দেশের ঋণ যখন বাজেটের ৮০ শতাংশ হয় তখন কিছুই করার থাকে না।
পাকিস্তানের এক দৈনিককে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩ মাস বিদেশ থেকে পণ্য আমদানী কোনওভাবে বাড়ানো হবে না। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতির ধাক্কা সামলানোর একট রাস্তা বের করব। আমি জানি এতে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কিছুটা থমকে যাবে কিন্তু এছাড়া আর কোনও উপায় আমার হাতে নেই।
উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে পাকিস্তান সরকার বিদেশ থেকে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করতো। সেই জায়গায় রফতানি হতো মাত্র ৩১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। তার উপরে ডলারের দাম হু হু করে বেড়েছে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পাক অর্থমন্ত্রী। এদিন তিনি আরও বলেন, সরকারের আর্থিক নীতি ঠিক পথেই চলছে। তার পরেও সামনে আমাদের কিছু কঠিন দিনের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যদি এখন আমদানী কম করতে পারি তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে পারব।
প্রসঙ্গত, ইমারান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই পাক অর্থনীতির হাড়পাঁজর বেরিয়ে পড়ে। এর প্রধান কারণ বৈদেশিক ঋণ। এর পেছনে রয়েছে অতিরিক্ত চিন নির্ভরতা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্রগুলি এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছিলেন পাক অর্থমন্ত্রী। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও ঘোরাল।