আলোর গতিকে চ্যালেঞ্জ
বিশ্ব বহ্মাণ্ডে আলোর চেয়ে বেশি গতিতে ছুটতে পারে না কোনও কণা। আলবার্ট আইনস্টাইনের এই তত্ত্বই এখন প্রশ্নের মুখে। সার্ন গবেষকদের দাবি আলোর চেয়ে সামান্য হলেও বেশি গতিতে ছোটে নিউট্রিনো।
বিশ্ব বহ্মাণ্ডে আলোর চেয়ে বেশি গতিতে ছুটতে পারে না কোনও কণা। আলবার্ট আইনস্টাইনের এই তত্ত্বই এখন প্রশ্নের মুখে। সার্ন গবেষকদের দাবি আলোর চেয়ে সামান্য হলেও বেশি গতিতে ছোটে নিউট্রিনো। কিন্তু এই দাবির পক্ষে তথ্য জোগাড় করতে গিয়েই সার্নের বিজ্ঞানীরা নিজেরাই অবাক। প্রতিবারই তাঁদের পরীক্ষায় উঠে আসছে নতুন তত্ত্বের আভাস দেয়। যা বদলে দিতে পারে পদার্থ বিজ্ঞানের ভিত্তি। বদলে দিতে পারে পার্টিকল ফিজিক্সের অনেক তত্ত্বই।
নিউট্রিনো কণার স্রোত পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘ পথ। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। জেনিভা থেকে গ্রাস সাসো ল্যাবরেটরির সুদীর্ঘ সাতশ বত্রিশ কিলোমিটার পথে এবারও নিউট্রিনো ফের হার মানিয়েছে আলোর গতিকে। আলোর চেয়ে বেশি গতিবেগে ছুটতে পারে না অন্য কোনও কণা। আইনস্টাইনের এই তত্ত্বকেই নস্যাত করে দিতে চাইছেন সার্নের গবেষকরা। ঐতিহাসিক এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বারবার নিউট্রিনোকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলছেন তাঁরা। কারণ এতদিনকার ধারণা বদলে গেলে, বদল হবে পদার্থ বিজ্ঞানের মৌলিক তত্ত্বে। তাই বার বার দেখে নেওয়া। নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে গতবারের থেকে এবার আরও সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছেন সার্ন-এর গবেষকরা। গতবার পরীক্ষার শুরুতেই গ্রান সাসোর দিকে একসঙ্গে নিউট্রিনো কণার স্রোত ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। সার্নের গবেষকদের দাবি এক সেকেন্ডের ছহাজার কোটি ভাগের একভাগের থেকে সামান্য হলেও বেশি গতি নিউট্রিনো কনার। কিন্তু পরীক্ষার ফল অবাক করছে বিজ্ঞানীদেরই। তাই এবার আরও নিশ্চিত হতে ছোট ছোট কণার স্রোত পাঠিয়ে বার বার দেখে নিচ্ছেন সার্ন-এর গবেষকরা। প্রতিবারই আইনস্টাইনের তত্ত্বকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে নতুন পরীক্ষা। তবে এখনই কোনও ঘোষণা নয়। পরীক্ষা চলবে আরও কয়েক দফায়। বিজ্ঞানীদের নিরন্তর সাধনায় হয়তো জন্ম নেবে নতুন তত্ত্ব। তবে জানা বাকি আরও একটি বিষয়। ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গপথে সুইত্জারল্যান্ড থেকে ইতালি যেতে প্রতিটি নিউট্রিনো কণার কতক্ষণ লেগেছে, সে তথ্য আপাতত নেই সার্ন-এর গবেষকদের কাছে। ফলে অজানার সাগরে পাড়ি দিয়ে তথ্য আহরণ এখনও বাকি। সেই তথ্যের দিকেই তাকিয়ে গোটা বিজ্ঞানী মহল।