ভয়ংকর গতিতে পরমাণুশক্তি বাড়াচ্ছে চিন! তা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি আর বেশি দেরি নেই?
পেন্টাগনের দাবি, গত বছর থেকে চিন নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির দখলে আপাতত চারশোরও বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ চিনের হাতে থাকবে অন্তত দেড় হাজার পরমাণু অস্ত্র!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বৈঠক আলোচনার কোনও শেষ নেই। কিন্তু সেটা যে পোশাকি, সেটা বোঝাই যায় দেশগুলির নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্য়বস্থার বহর দেখলে। যেমন সম্প্রতি চিনের সম্বন্ধে জানা গেল। জানা গিয়েছে, চিন তাদের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে নিচ্ছে। ২০৩৫ সাল নাগাদ তাদের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার বিপুল হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: দলীয় প্রধান আবু আল-হাসানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করল আইএস, এল নতুন মুখ...
পেন্টাগনের দাবি, চিনের লক্ষ্য ২০৩৫ সাল। তার মধ্যেই নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার তিন গুণ বাড়িয়ে নেবে তারা। আমেরিকান কংগ্রেসে পেশ করা একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। পেন্টাগনের শীর্ষ আধিকারিকদের দাবি, গত বছর থেকেই চিন নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে। ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, চিনের 'পিপলস লিবারেশন আর্মি'র দখলে আপাতত চারশোর বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। তাদের পরমাণু অস্ত্র-ভাণ্ডার এ ভাবে বাড়াতে থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে অন্তত দেড় হাজার পরমাণু অস্ত্র থাকবে বলে তাদের অনুমান! বর্তমান সংখ্যার তিন গুণেরও বেশি। ওই রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে আমেরিকা যাতে নাক না গলায় সেই মর্মেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে চিন!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বেজিং বরাবরই বলে এসেছে, নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার বেশি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না তারা। অথচ গত বছর থেকে তাদের অস্ত্র ভাণ্ডারে বিপুল সংখ্যক পরমাণু অস্ত্র যোগ হতে শুরু করেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে চিনের অস্বচ্ছতাই উদ্বেগের মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছে পেন্টাগন।
কিন্তু পেন্টাগন জানল কী করে চিন গোপনে তাদের পরমাণু-সম্ভার বাড়িয়ে নিচ্ছে?
পেন্টাগনের দাবি, দক্ষিণ চিন সাগরে 'পিপলস লিবারেশন আর্মি' ইদানীং যে ধরনের ডুবোজাহাজ ব্যবহার করেছে, তা দেখেই তাদের এই ধারণা দৃঢ় হয়েছে। পেন্টাগনের শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, চিনের এই সিদ্ধান্তের পিছনে একটা বড় কারণ, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন নীতি।