বর্তমানের বিরোধ মেটাতে সেই পঞ্চশীলেই আস্থা মোদী-জিন পিং-এর
ওয়েব ডেস্ক: ডোকা লা নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের আগুনে উত্তাপ পুরোপুরি উধাও না হলেও কূটনৈতিক পরিসরে সুর অনেকটাই নরম করেছে কমিউনিস্ট চিন। ভারতের প্রনমন্ত্রীর সঙ্গে আজ ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, পঞ্চশীল চুক্তি মেনে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় চিন। কিন্তু কী এই পঞ্চশীল চুক্তি?
১৯৯৪ সালে ২৯ এপ্রিল পেকিং-এ চিন ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় পঞ্চশীল চুক্তি। সংস্কৃত শব্দ 'পঞ্চশীল'-এর অর্থ পাঁচটি গুণ বা ধর্ম। চুক্তির প্রস্তাবনা অংশেই উল্লিখিত হয়েছে এই ৫ গুণ-
১) দু'দেশের সীমানা বরাবর সংহতি রক্ষার্থে ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।
২) সহমতের ভিত্তিতে আক্রমণ বিমুখতা।
৩) একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যা দেশের হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি।
৪) পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষায় সহযোগীতা।
৫) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।
সদ্য স্বাধীন হওয়া নবীন রাষ্ট্র যদি এই নীতিগুলি মেনে চলে তাহলে আন্তর্জাতীক মঞ্চে নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে বিবেচক হিসাবে পরিগণিত হবে। উল্লেখ্য, এশিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের সমাবেশে শ্রীলঙ্কার কলোম্বোয় তত্কালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর আতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, "উভয় দেশই যদি এই নীতিগুলি মেনে চলে তাহলে তাদের মধ্যে কোনও সংঘর্ষ তো হবেই না এবং যুদ্ধ হওয়ার কোনও সম্ভবনা থাকবে না"।
উল্লেখ্য, ডোকা লা, অরুণাচল প্রদেশ-সহ একাধিক ইস্যুতে সাম্প্রতিককালে ভারত-চিন সম্পর্ক অনেক সময় তলানিতে ঠেকেছে। আর তা থেকেই স্পষ্ট যে ঐতিহাসিক পঞ্চশীল চুক্তি সঠিকভাবে মেনে চলা হয়নি। তাই এবার চিনের তরফে আগ বাড়িয়ে পঞ্চশীল চুক্তি পালনে আগ্রহ প্রকাশকে ভারতের কূটনৈতিক অ্যাডভান্টেজ বলে মনে করছে আন্তর্জাতীক মহলের একাংশ।