China-Taiwan Conflict: কেন ঘনিয়ে উঠছে চিন-তাইওয়ান যুদ্ধ? তাইওয়ান কি সত্যিই চিনের অংশ?

China-Taiwan Conflict: তাইওয়ান একটি দ্বীপ। স্বভাবতই চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। সতেরো শতকে চিনে কিং রাজবংশের শাসনকালে প্রথমবার এই দ্বীপটি চিনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। ১৮৯৫ সালে, প্রথম চিন-জাপান যুদ্ধে পরাজয় হয়েছিল চিনের। সেই সময় দ্বীপটির দখল নিয়েছিল জাপানিরা।

Updated By: Oct 31, 2022, 05:47 PM IST
China-Taiwan Conflict: কেন ঘনিয়ে উঠছে চিন-তাইওয়ান যুদ্ধ? তাইওয়ান কি সত্যিই চিনের অংশ?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাইওয়ানকে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চিন। যদিও এজন্য তারা কোনওদিন সামরিক অভিযান করেনি। কিন্তু রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এখন চিন-তাইওয়ান নিয়েও নতুন করে সংকট ঘনিয়েছে।
এমনিতে তাইওয়ান নিয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও যখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান নিয়ে কিছু বলে তখনই দাঁত-নখ বার করে বেজিং। কেন হঠাৎ গণতান্ত্রিক একটি দেশকে চিন তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে? 

আসুন জেনে নেওয়া যাক, কেন চিন তাইওয়ানকে তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে।

আরও পড়ুন: Iran Anti-Hijab Protests: জন্মদিনের ঠিক আগেই মৃত্যুদিন! ইরানের পুলিসই কি 'হত্যা' করল ইরানের তরুণ শেফকে?

তাইওয়ান একটি দ্বীপ। স্বভাবতই চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। সতেরো শতকে চিনে কিউয়িং রাজবংশের শাসনকালে প্রথমবার এই দ্বীপটি চিনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। ১৮৯৫ সালে, প্রথম চিন-জাপান যুদ্ধে পরাজয় হয়েছিল চিনের। সেই সময় দ্বীপটির দখল নিয়েছিল জাপানিরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর, ১৯৪৫ সালে চিন ফের তাইওয়ানের দখল নিয়েছিল। কিন্তু, এর পরই চিয়াং কাই-শেকের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী চিন সরকার এবং মাও সেতুং-এর কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে চিনের মূল ভূখণ্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা জয়লাভ করার পর, চিয়াং কাই-শেক এবং তাঁর জাতীয়তাবাদী দল, কুওমিনতাং-এর বাকি নেতারা পালিয়ে গিয়ে তাইওয়ানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরবর্তী কয়েক দশক কুওমিনতাং, তাইওয়ান শাসন করেছিল তারা। এই ইতিহাস তুলে ধরেই চিন দাবি করে, তাইওয়ান বরাবরই চিনের একটি অংশ ছিল।

কিন্তু তাইওয়ানও কি তাই মনে করে?

তাইওয়ান বলে, তারা কখনই আধুনিক চিনের অংশ হয়নি। ১৯১১ সালের বিপ্লবের পরে যে চিন রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল, তারও অংশ ছিল না। ১৯৪৯ সালে মাওয়ের নেতৃত্বে যে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন গঠিত হয়েছিল, তারও নয়। তাইওয়ানের বেশিরভাগ নাগরিকই চিন-তাইওয়ান সমস্যা বিষয়ে ইদানীংকালের 'স্থিতিশীলতা'ই বজায় রাখতে চান। এবং বেজিং যদি তাইওয়ান আক্রমণ না করে, সেক্ষেত্রে অধিকাংশ তাইওয়ানবাসীই চিনের থেকে স্বাধীন হতেই চান। তাইওয়ানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণই চিনের সঙ্গে তাদের দেশের একীকরণের বিরোধী। তারা মনে করে, তাদের দেশ এক সার্বভৌম রাষ্ট্র, যার সরকারি নাম ‘চিন প্রজাতন্ত্র’। তাই আলাদা করে  চিনের থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তিরও কিছু নেই।

যদি শেষ পর্যন্ত চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের যুদ্ধ লাগে, তা হলে কী হবে? যদি চিনের দখলে চলে যায় তাইওয়ান, তাহলেই-বা কী হবে? বিশ্ব-রাজনীতি বা বিশ্ব-কূটনীতিতে কি এজন্য কোনও পরিবর্তন আসবে? ভারতেরই-বা কী হবে? এ জাতীয় নানা প্রশ্ন এখন ভিড় করছে সংশ্লিষ্ট মহলে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.