Bangladesh Durga Puja 2022: পুজো মণ্ডপের পাশেই বিশাল পদ্মা সেতু, দর্শনার্থীদের ঢল নামল পুজোর ক'দিন
পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, পদ্মাসেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই দলে দলে মানুষ সেখানে যাচ্ছেন, ছবি তুলছেন। কিন্তু গ্রামের সাধারণ গরিব মানুষের সেই ক্ষমতা নেই। তাই সাধারণ মানুষকে দেখানোর জন্য একটি মডেল তৈরি করা হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবার দুর্গাপুজোয় এলাহি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ সরকার। রাজধানী ঢাকাতে পুজো হয়েছে প্রায় আড়াইশোরও বেশি। অন্যদিকে গোটা বাংলাদেশে এবার ৩২ হাজারের বেশি দুর্গা পুজো হয়েছে। এপার বাংলার মতো ওপারেও চল হয়েছে থিম পুজোর। শেরপুরের এক পুজো মণ্ডপে তৈরি হল আস্ত এক পদ্মা সেতু। কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই পদ্মা সেতু এখন বাংলাদেশের গর্ব। সেই সেতুই উঠে এল শেরপুরের মণ্ডপে। থার্মোকলের শিট দিয়ে একটি পুকুরে তৈরি করা হয়েছে এই সেতু। আলোকমালায় সাজানো হয়েছে সেতুটি।
আরও পড়ুন-গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ! মঙ্গলকোটে গ্রেফতার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী
কেন পদ্মা সেতু? পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, পদ্মাসেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই দলে দলে মানুষ সেখানে যাচ্ছেন, ছবি তুলছেন। কিন্তু গ্রামের সাধারণ গরিব মানুষের সেই ক্ষমতা নেই। তাই সাধারণ মানুষকে দেখানোর জন্য একটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। শেরপুরের ওই পদ্মাসেতুর মডেলটি তৈরি করেছেন শিল্পী সঞ্জিত সুত্রধর। সংবাদমাধ্যমে সঞ্জিত বলেন, ইউটিউবে দেখে সেতুর মডেলটি মাথায় গেঁথে নিই। তারপর থার্মোকল দিয়ে সেতুর মডেল বানিয়ে ফেলি। সবেমিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ গিয়ে দাঁড়ায় ১০০ ফুট। তৈরি করতে ২০ দিন সময় লেগে যায়। আসলে পদ্মা সেতুর আইডিয়াটা আমার স্ত্রীর দেওয়া। ও আমাকে বলে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। তুমি এবার পদ্মা সেতু বানাও।
পুজো উদ্যোক্তা সুজিত দাস বলেন, দেশের দৃষ্টিনন্দন একটি জিনিস হল এই পদ্মা সেতু। তাই কমিটির তরফ থেকে সঞ্জিতকে সেতু তৈরি বরাত দেওয়া হয়। এই সেতু আমাদের কাছে একটি আশীর্বাদ। দেশের এই সম্পদ সবার দেখা উচিত।
উল্লেখ্য, এবার শেরপুর জেলায় ১৫৫টি দুর্গাপুজো হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপের সজ্জায় ছিল বৈচিত্র। সঞ্জিতের স্ত্রী জানিয়েছেন, এর আগে করোনা ভাইরাসের ভাসমান অবয়ব বানিয়েছিলাম। এর আগে নৌকায় মণ্ডপ তৈরি করেছিলাম। তবে পদ্মাসেতু তৈরি করার আনন্দই আলাদা।