ইথিওপিয়ার মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন
প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আবি আহমেদ প্রশংসিত হলেও তাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে পদক্ষেপ করেননি বলেই অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তপ্ত ইথিওপিয়া। সঙ্কটে সে দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ। উদ্বিগ্ন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।
ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলের তাইগ্রেতে সে দেশের এক আঞ্চলিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা 'ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস' (ইউএনএইচসিআর) গতকাল, মঙ্গলবার জানায়, 'হর্ন অব আফ্রিকা' বলে খ্যাত ইথিওপিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ মানবিক সঙ্কটের চেহারা নিচ্ছে। ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ১০ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার নারী-পুরুষ-শিশু তাইগ্রে থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আশ্রয় নিচ্ছে সুদানে। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র জানান, ইথিওপিয়ার তিন সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে ইতিমধ্যেই ২৭ হাজারের বেশি মানুষ সুদানে এসেছেন।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ৪ নভেম্বর তাইগ্রে অঞ্চলে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তাইগ্রে অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর ওপর স্থানীয় বাহিনীগুলির হামলার অভিযোগ উঠলে আবি আহমেদ সেখানে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী পাঠান। প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের উদ্দেশ্য রাজ্যটিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদ ক্ষমতায় আসার পর আফ্রিকার এই দেশে রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় নোবেল শান্তি পুরস্কারও পান আবি। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আবি আহমেদ প্রশংসিত হলেও নিজের দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল তাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ করতে পারেননি বলেই অভিযোগ তাঁর প্রতি। এই ব্যাপারটিই তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ উসকে দেয়।
আরও পড়ুন: দেখুন তো ইরান আক্রমণ করা যায় কিনা: উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চান ট্রাম্প!