আইএসআই-এর শীর্ষ পদে কিং খানের আত্মীয়

দীর্ঘদিন ধরে আইএসআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর পদে থাকার সুবাদে সংস্থার পরবর্তী প্রধানের পদে `স্বাভাবিক পছন্দ` হওয়ার কথা ছিল তাঁরই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সইফ আলি খানের চাচা মেজর জেনারেল সাহেবজাদা ইসফান্দিয়ার আলি খান পাতৌদি নন, পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থার পরবর্তী ডিরেক্টর পদে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দূর সম্পর্কের আত্মীয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জহিরুল ইসলামকে বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।

Updated By: Mar 10, 2012, 03:31 PM IST

দীর্ঘদিন ধরে আইএসআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর পদে থাকার সুবাদে সংস্থার পরবর্তী প্রধানের পদে `স্বাভাবিক পছন্দ` হওয়ার কথা ছিল তাঁরই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সইফ আলি খানের চাচা মেজর জেনারেল সাহেবজাদা ইসফান্দিয়ার আলি খান পাতৌদি নন, পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থার পরবর্তী ডিরেক্টর পদে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দূর সম্পর্কের আত্মীয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জহিরুল ইসলামকে বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
২০০৮-১০ সালে আইএসআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর পদে কর্মরত জহিরুল ইসলাম বর্তমানে পাক সেনাবাহিনীর করাচিস্থিত ফিফ্‍থ কোর-এর `জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং ইন চার্জ`-এর দায়িত্বে রয়েছেন। চলতি মাসের ১৮ তারিখ অবসর নিচ্ছেন আইএসআই-এর বর্তমান প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা। আর সেদিনই নয় ডিরেক্টর পদে আসীন হবেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জহিরুল। আগামী ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকবেন। সাম্প্রতিক কালে পাক মাটিতে মার্কিন ড্রোন হামলা-সহ বেশ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কে যথেষ্ট শীতলতা এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র সঙ্গে চিড় ধরা সম্পর্কের মেরামত তাঁর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হবে। সেই সঙ্গে `মেমোগেট` কেলেঙ্কারির জেরে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে ফৌজের টানাপোড়েন হ্রাস করাও লে. জেনারেল জহিরুলের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি পাতৌদি`র তুতো ভাই মেজর জেনারেল ইসফান্দিয়ার আলি খান পাতৌদিকে প্রাথমিক ভাবে আইএসআই প্রধান পদে মনোনীত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি। কিন্তু পরবর্তীকালে জেনারেল কায়ানির পরামর্শে জহিরুল ইসলামের নাম বেছে নিলেন তিনি।

লে. জেনারেল জহিরুলের সম্পর্কিত চাচা মাহমুদ নওয়াজ ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক কর্নেল। মাহমুদের বাবা মেজর জেনারেল শাহনওয়াজ খান ছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ ফৌজের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড'। দেশ বিভাজনের পর ভারতেই থেকে গিয়েছিলেন শাহনওয়াজ খান। জওহরলাল নেহরু মন্ত্রিসভার রেল ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শাহনওয়াদজের এক ছেলে মাহমুদ পরিবারের অন্য কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে দেশ বিভাজনের সময় পাকিস্তান চলে যান। জহিরুলের বাবাও ছিলেন সেই দলে। মাহমুদের সঙ্গেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার অফিসার হিসেবে অবসর নেন তিনি।
পাক সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় নানা বিধিনিষেধের কারণে ভারতে এসে নিজের বাবা শাহনওয়াজের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি মাহমুদ। আর বলিউড-বাদশা শাহরুখের সঙ্গে জহিরুলের সম্পর্ক? ১৯৮৩ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পালিতা কন্যা লতিফ ফতিমার সঙ্গে থাকতেন নেতাজি'র বিশ্বস্ত সহকর্মী শাহনওয়াজ। সম্পর্কে যিনি শাহরুখ খানের মা।

.