অর্ধ শতাব্দী পরেও লুথারের স্বপ্নই স্মরণ করালেন তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

স্বপ্ন দেখেছিলেন বৈষম্যহীন মার্কিন সমাজের। সেই স্বপ্নের কথাই শুনিয়েছিলেন লিঙ্কন মেমোরিয়ালে জড়ো হওয়া প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে। ১৯৬৩ সালে ২৮ অগাস্ট বিখ্যাত আই হ্যাভ আ ড্রিম বক্তৃতায় সেই কথা শুনিয়েছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। অর্ধেক শতাব্দী পর ওই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের অধরা স্বপ্নের কথা শোনালেন তিন প্রজন্মের তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Updated By: Aug 29, 2013, 10:40 PM IST

স্বপ্ন দেখেছিলেন বৈষম্যহীন মার্কিন সমাজের। সেই স্বপ্নের কথাই শুনিয়েছিলেন লিঙ্কন মেমোরিয়ালে জড়ো হওয়া প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে। ১৯৬৩ সালে ২৮ অগাস্ট বিখ্যাত আই হ্যাভ আ ড্রিম বক্তৃতায় সেই কথা শুনিয়েছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। অর্ধেক শতাব্দী পর ওই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের অধরা স্বপ্নের কথা শোনালেন তিন প্রজন্মের তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তাদের কথায় বারবারই উঠে এল কিংয়ের দেখা স্বপ্ন আর বাস্তবের ফারাকটা। আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের কথায় উঠে এল আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ের কথা। ১৯৬৩ সালের গ্রীষ্মে লিঙ্কন মেমোরিয়ালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে মার্কিন নাগরিকদের সমানাধিকারের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মার্টিন লুথার কিং। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ কীভাবে বদলে দিয়েছিল আমেরিকাকে ? পঞ্চাশ বছর পর লিঙ্কন মেমোরিয়ালে সিড়িতে দাঁড়িয়েই স্মৃতিচারণ করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন।
 
সমানাধিকারের লড়াইয়ে জয় এসেছে কালো মানুষদের। মিলেছে ভোটাধিকারও। বদল হয়েছে হোওয়াইট হাউসেও। সেই বদলের কথাই মনে করিয়ে দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে একজন কৃষ্ণাঙ্গর নির্বাচন হলে এখনও বদলায়নি মার্কিন সমাজ। কোনও রাখঢাক না করেই সেই বৈষম্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিল ক্লিনটন। বৈষম্যের সমীকরণটা যেন আরও দুঃসহ করে দিয়েছে আর্থিক পরিস্থিতি। ফলে আরও কঠিন লড়াই চালানোর আহ্বান এসেছে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে।
 
বৈষম্য রয়েছে। তাই রয়েছে স্বপ্ন দেখার প্রয়োজনটাও। দশদিন ধরে মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান যেন সেই শিক্ষাটাই ফের দিয়ে গেল মার্কিন সমাজকে।
 

.