সিরিয়ায় সারিন রাসায়নিক অস্ত্রই ব্যবহার হয়েছিল জানাল রাষ্ট্রসংঘ, বাসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ প্রমাণিত
সিরিয়ায় সারিন নামে রাসায়নিক অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছিল। নিশ্চিত এবং নিরপেক্ষ তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়ে দিল রাষ্ট্রসংঘ। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ বলেও ব্যাখ্যা করেন।
সিরিয়ায় সারিন নামে রাসায়নিক অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছিল। নিশ্চিত এবং নিরপেক্ষ তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়ে দিল রাষ্ট্রসংঘ। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ বলেও ব্যাখ্যা করেন।
সিরিয়া নিয়ে সোমবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রিপোর্ট পেশ করলেন বান কি মুন। রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী মিশনের রিপোর্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২১ অগাস্ট দামাস্কাসের ঘুটা অঞ্চলে ভূমি থেকে ভূমি রকেট হামলায় ব্যাপক মাত্রায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছিল। হামলার পর যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা শুধুমাত্র রাসায়নিক হামলা হলেই সম্ভব।
রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারীরা তাঁদের রক্ত, চুল, মূত্র এবং রকেটের ভগ্নাবশেষ পরীক্ষা করেছেন। বান জানিয়েছেন, ৮৫ শতাংশ রক্তের নমুনাতেই সারিনের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মোট কতজন এই হামলায় হতাহত হয়েছেন, তা তদন্তকারীরা জানাতে না পারলেও প্রাণহানির মাত্রা যে অত্যন্ত বেশি, সে কথা রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা।
আন্তর্জাতিক মহলকে এই হামলার নিন্দা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। তাঁর দাবি, ১৯৮৮ তে হালাবজায় সাদ্দাম হুসেনের রাসায়নিক হামলার পর সিরিয়ায় আরও একবার রাসায়নিক হামলার প্রমাণ পাওয়া গেল। বিষয়টি নিয়ে এরপরেও নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বান। তবে অপরাধীদের শাস্তির বিধান অন্যদেরই ঠিক করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।