কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর কদর করল না, আক্ষেপ ট্রাম্পের
এত কাঠ-খড় পুড়িয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন জোগাড় করার পর তা ব্যবহারের অযোগ্য শুনে বেশ হতাশ ও কিছুটা বিরক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা বিশ্ব বুঝল। খালি আমরাই কদর করলাম না। মঙ্গলবার হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন নিয়ে এমনই আক্ষেপ করতে দেখা গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদন তুলে নেওয়ার পর এমনটাই বললেন ট্রাম্প।
ভারত থেকে কার্যত কূটনৈতিক শর্তের চাপ দিয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন জোগাড় করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, করোনাভাইরাসের জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ঠিক কতটা কার্যকর তাই নিয়ে এখনও কোনও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি কেউই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই কখনও এটি ব্যবহারের অপ্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে। কখনও আবার এটি ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম পর্যায়ে পৌঁছয়।
আপদকালীন পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা যাবে? সোমবার এই প্রশ্নের উত্তরে ইউএস ফুড এন্ড ড্রাগ কন্ট্রোল জানায়, এটি ব্যবহার করলে কোনও লাভ হবে না। উল্টে একমাত্র কার্যকর এন্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভিরের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এটি। মার্কিন গবেষকরা জানায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কোনভাবেই উপকারি নয়। একই মত ব্রিটিশ গবেষকদেরও।
তবে গবেষণা যাই বলুক, এত কাঠ-খড় পুড়িয়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন জোগাড় করার পর তা ব্যবহারের অযোগ্য শুনে বেশ হতাশ ও কিছুটা বিরক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশেষত, হোয়াইট হাউসে দুই ব্যক্তির কোনো সংক্রমণ ধরা পড়ার পর নিজেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, "ওষুধটা খাওয়ার পর বেশ শান্তি পেয়েছিলাম। আর যাই হোক আমার কোনও ক্ষতি তো করেনি।"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লক্ষেরও বেশি। মৃত ১ লক্ষেরও অধিক।
আরও পড়ুন : বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত গড়েছে ভারত, করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের বললেন প্রধানমন্ত্রী