ঝড়ের ঘা এখনও দগদগে, তা ও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছোট্ট শহরটার
তিনদিন আগেও গমগম করত শহরটা। আজ ফিলিপিন্সের ছোট্ট শহর লেইটায় শুধুই স্তব্ধতা। সুপার টাইফুন হাইয়ান কেড়ে নিয়েছে শহরের হাজার হাজার প্রাণ। তবুও হার মানছে না লেইটা। ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ছোট্ট শহরটি।
তিনদিন আগেও গমগম করত শহরটা। আজ ফিলিপিন্সের ছোট্ট শহর লেইটায় শুধুই স্তব্ধতা। সুপার টাইফুন হাইয়ান কেড়ে নিয়েছে শহরের হাজার হাজার প্রাণ। তবুও হার মানছে না লেইটা। ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ছোট্ট শহরটি।
প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ারে অবস্থান। টাইফুন, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির সঙ্গে রোজকার ঘর ফিলিপিন্সবাসীর। কিন্তু, শুক্রবারের সকাল ছিল একেবারে অন্যরকম। সুপার টাইফুনের সতর্কতা ছিল। ছিল আপাতকালীন ব্যবস্থাও। কিন্তু, হাইয়ানের শক্তিটা আঁচ করতে পারেনি ফিলিপিন্স সরকার। ক্যাটাগরি ফাইভ টাইফুনের দাপটে চোখের নিমিষে মাটিতে মিশে গেছে প্রাদেশিক শহর লেইটা। ৩১৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় আর তারসঙ্গে পনেরো ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস। ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে শহরের অধিকাংশ বাড়ি। কেড়ে নিয়েছে কমকরে দশহাজার মানুষের প্রাণ। তাণ্ডবের তিনদিন পর শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধংসের চিহ্ন। জল আর খাবারের জন্য হাহাকার। পৌঁছয়নি ত্রাণ।
রে রেইনডো বলেন, "আমদের আপাতত জামাকাপড় আর জল দরকার। খাবার মোটামুটি রয়েছে।" শুক্রবারের মহাবিপর্যয়ে পরিবারের এগারোজনকে হারিয়ে দিশেহারা আটমাসের অন্তঃস্বত্তা জেনি। তিনি আরও বলেন ,"আমি জানি না এখন কী করব। আজকের দিনটা বেঁচে আছি। আগামিকাল কী হবে কোথায় যাব জানি না। আদৌ বেঁচে থেকে কী লাভ হল সেটাই আমি বুঝে উঠতে পারছি না।"
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি লেইটা। এবার, লড়াই ঘুরে দাঁড়ানোর।