Iran Hijab Controversy: জনসমক্ষে চুল দেখানোর 'অপরাধে' দই ছুড়ে মারা হল দুই মহিলাকে...
Hijab Controversy in Iran: হিজাব-কাণ্ড যেন থামছেই না ইরানে। মাশাআমিনি-কাণ্ডের পরেও চলছে এর জের। এবার জনসমাগমস্থলে চুল ঢেকে না রাখায় দুই মহিলার মাথায় দই ছুড়ে মারলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইরানের এক দোকানে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রকাশ্যে চুল ঢেকে না রাখায় দুই মহিলার মাথায় দই ছুড়ে মারলেন এক ব্যক্তি। পরে ওই দুই মহিলাকে গ্রেফতারও করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এ সংক্রান্ত এক ভিডিয়ো। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি দোকানে ঢুকেছেন ওই দুই মহিলা। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের কথা বলতেও দেখা যায়। হঠাৎই ওই ব্যক্তি দোকানের তাকে রাখা দইয়ের বাটি তুলে ওই দুই মহিলার মাথায় ছুড়ে মারেন!
আরও পড়ুন: Russia: 'যুদ্ধাপরাধে'র পরেও কী ভাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পায় রাশিয়া?
ঘটনাটি ঘটেছে ইরানে। ইরানের বিচারবিভাগ বলছে, জনসমক্ষে চুল দেখানোর 'অপরাধে' জন্য ওই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইরানে প্রকাশ্য রাস্তায় জনসমাগমপূর্ণ জায়গায় মেয়েদের চুলপ্রদর্শন বেআইনি। পাশাপাশি, জনসমাগমস্থলে গোলমাল করার জন্য দই-ছোড়া ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: Super-Sized Species of Trapdoor Spider: বিরল প্রজাতির ফাঁদ-পাতা মাকড়সা খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা...
এর মধ্যে মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাধ্যতামূলক হিজাব পরার নিয়ম বাতিলের দাবিতে ইরানে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলেছে। কিন্তু হিজাব নিয়ে সাধারণ মানুষ বা সে দেশের প্রশাসনের ভাবনাচিন্তায় যে বিন্দুমাত্র বদল ঘটেনি সেকথাই ফের প্রমাণিত হল এই গ্রেফতারির ঘটনায়। ভিডিয়ো ফুটেজে দোকানে দুই মহিলাকে জিনিস কেনার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেখানে এক ব্যক্তিকে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা গিয়েছিল। পরে দুজনের মাথায় দই ছুড়ে মারেন ওই ব্যক্তিই! দোকানের বিক্রেতা ওই হামলাকারীকে দোকান থেকে বের করে দেন। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি এবং ওই দুই মহিলার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে দোকানের মালিককেও প্রয়োজনীয় নোটিস দেওয়া হয়েছে!
প্রসঙ্গত, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ধর্মীয় প্রয়োজন হিসেবেই ইরানি মহিলাদের হিজাব পরতে হবে। হিজাব আইনগতভাবে বৈধ ও তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। ঠিকভাবে হিজাব না পরায় গত বছর, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইরানের নীতিপুলিস তেহরানে আটক করে ২২ বছরের মাশা আমিনিকে। পুলিসি হেফাজতেই মাশার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্য বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। চারজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে!