বাস্তবেও এক দিনের জন্য কানাডার মতো দেশের একদিনের প্রধানমন্ত্রী হলেন ভারতীয় যুবক!
এই ধরনের ঘটনা সাধারণত স্বপ্ন, সিনেমা, নাটক অথবা সাহিত্যে দেখা যায়। বলিউডের নায়ক সিনেমাতেও তো দেখা গিয়েছে। বিষয়টি হলো কোন দেশের এক দিনের রাজা অথবা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা। চেয়ারে বসামাত্রই দেশটির নানা অনিয়ম-অনাচার দূর করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। কিন্তু এবারের ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য। তাও আবার কানাডার মতো একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা! সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত পিজে লাখানপাল নামে এক তরুণ দেশটির এক দিনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন! প্রধানমন্ত্রী দফতরে সে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্য রাখা একটি চেয়ারে বসে কেটেছে তার সারাটা দিন।
ওয়েব ডেস্ক: এই ধরনের ঘটনা সাধারণত স্বপ্ন, সিনেমা, নাটক অথবা সাহিত্যে দেখা যায়। বলিউডের নায়ক সিনেমাতেও তো দেখা গিয়েছে। বিষয়টি হলো কোন দেশের এক দিনের রাজা অথবা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা। চেয়ারে বসামাত্রই দেশটির নানা অনিয়ম-অনাচার দূর করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। কিন্তু এবারের ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য। তাও আবার কানাডার মতো একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা! সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত পিজে লাখানপাল নামে এক তরুণ দেশটির এক দিনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন! প্রধানমন্ত্রী দফতরে সে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্য রাখা একটি চেয়ারে বসে কেটেছে তার সারাটা দিন।
আসলে ১৯ বছর বয়সী লাখানপালের আদি বাড়ি ভারতের পাঞ্জাবে। এক ধরনের জটিল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন তিনি। ক্রমেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসছিল তাঁর। এরপর লাখানপালের সামনে সুযোগ আসে ‘মেক আ উইশ’ নামের এক কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার। এই কর্মসূচীর উদ্দেশ্য মরণব্যাধিতে আক্রান্ত কোন তরুণের শেষ ইচ্ছা পূরণে কাজ করা। আয়োজকদেরও চেষ্টা থাকে আক্রান্তের শেষ ইচ্ছা পূরণে সবকিছু করার। এরপর ছেলেটির কাছে জানতে চাওয়া হয় তার শেষ ইচ্ছার কথা। এ সময় আয়োজকদের উদ্দেশ্যে লাখানপালের ঝটপট উত্তর ছিল, তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এ কথা শুনে আয়োজকদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এভাবে আস্তে আস্তে ছেলেটির এই ইচ্ছার কথা পৌঁছে যায় খোদ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কানে। প্রধানমন্ত্রী এই ছেলেটির ইচ্ছা পূরণে এগিয়ে আসেন। সুযোগ করে দেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার।