কর্মখালি: চাই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার লোক, বিজ্ঞাপন সৌদির সিভিস সার্ভিস পোর্টালে
'জল্লাদ' চাই! চাই নয়া আট মূলত 'শিরশ্ছেদ' করার লোক। এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিল সৌদি আরব। সে দেশে বাড়ছে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা। কিন্তু সেই অনুযায়ী নেই মৃত্যদণ্ড কার্যকরী করার লোক। সেই কারণে অতিরিক্ত লোক নিয়োগের অভিপ্রায় 'কর্মখালি'-র বিজ্ঞাপন জারি করল সৌদি।
ওয়েব ডেস্ক: 'জল্লাদ' চাই! চাই নয়া আট মূলত 'শিরশ্ছেদ' করার লোক। এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিল সৌদি আরব। সে দেশে বাড়ছে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা। কিন্তু সেই অনুযায়ী নেই মৃত্যদণ্ড কার্যকরী করার লোক। সেই কারণে অতিরিক্ত লোক নিয়োগের অভিপ্রায় 'কর্মখালি'-র বিজ্ঞাপন জারি করল সৌদি।
'মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী' করার ক্ষমতা ব্যতীত এই কাজের জন্য অতিরিক্ত কোনও যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তবে কম সাজা প্রাপ্তদের অঙ্গচ্ছেদ করার পারদর্শিতাও থাকতে হবে আবেদনকারীদের। সৌদি আরবের সিভিল সার্ভিস জব পোর্টালেই এই 'কর্মখালি'-র বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
পৃথিবীর যে পাঁচটি দেশে মৃত্যুদণ্ড সর্বাধিক তাদের মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই বিষয়ে ৩ নম্বরে আছে এই ইসলামিক কিংডোম। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে অবশ্য এক নম্বরে চিন। ঠিক তার পরেই আছে ইরান। সৌদির পরেই আছে ইরাক ও আমেরিকা।
সৌদি আরবের অফিসিয়াল প্রেস এজেন্সি অনুযায়ী এই বছরে ইতিমধ্যেই সে দেশে ৮৫ জনের শিরশ্ছেদ হয়েছে। ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৮৮।
বেশিরভাগ মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত। অনেকের আবার নিষিদ্ধ মাদক সেবনের জন্য মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।
কেন বাড়ছে সৌদিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা। এ বিষয়ে সে দেশের কর্তৃপক্ষ অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে কূটনীতিকদের মতে গত কয়েক বছরে সৌদিতে ব্যপক হারে বিচারক নিয়োগ হয়েছেন। যার ফলে বাড়ছে মৃত্যুদণ্ডের আদেশের সংখ্যাও।
রাজনীতিক মহলের মতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির অস্থিরতা এই সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।