ইস্তফা দিচ্ছেন বার্লুসকোনি, দাঁড়াবেন না পরবর্তী নির্বাচনেও
শেষ পর্যন্ত ঋণসঙ্কটের জেরে প্রবল চাপের মুখে শর্তসাপেক্ষ ইস্তফার প্রস্তাব দিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুপারিশ মেনে পার্লামেন্ট ব্যয়সংকোচ কর্মসূচি অনুমোদন করবার পরই পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ইতালির পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে না দাঁড়ানোর কথাও ঘোষণা করেছেন বার্লুসকোনি।
শেষ পর্যন্ত ঋণসঙ্কটের জেরে প্রবল চাপের মুখে শর্তসাপেক্ষ ইস্তফার প্রস্তাব দিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুপারিশ মেনে পার্লামেন্ট ব্যয়সংকোচ কর্মসূচি অনুমোদন করবার পরই পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ইতালির পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে না দাঁড়ানোর কথাও ঘোষণা করেছেন বার্লুসকোনি।
মঙ্গলবার পার্লামেন্টে সামান্য ব্যবধানে বাজেট প্রস্তাব পাশ করাতে সমর্থ হয় বার্লুসকোনির নেতৃত্বাধীন মধ্য-ডানপন্থী জোট সরকার। কিন্তু এই ভোটে পার্লামেন্টে শাসক শিবিরের অনেক সিনিয়র সদস্য অংশ নেননি। মঙ্গলবার বাজেট সংক্রান্ত সরকারি প্রস্তাবের পক্ষে ৩০৮ ভোট পড়ে। এতে প্রস্তাবটি পাশ হলেও সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়, কারণ সরকার চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পার্লামেন্টের অর্ধেক অর্থাৎ ৩১৬ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। ফলে নিজের দল এবং জোটে প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শাসক জোটের অন্যতম প্রধান শরিক, নর্দান লিগের নেতা আমবার্তো বোসি খোলাখুলি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ফলে সংখ্যাগিরষ্ঠতা হারানো ইতালীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া কার্যত অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না। ইতিমধ্যেই ইতালির বিরোধী দলগুলির তরফে একটি `জাতীয় সরকার` গঠনের দাবী তোলা হয়েছে।
শুধু প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, শাসকজোটের বৃহত্তম দল, পিডিএল-এর প্রধানের পদও বার্লুসকোনির হাতছাড়া হতে চলেছে। সূত্রে খবর, ওই পদে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন অ্যাঙ্গেলিনো আলফানো। প্রসঙ্গত, তালিতে বাজেট ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আশঙ্কাজনক ভাবে কম বৃদ্ধির হার এবং প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ইউরো দেনা নিয়ে গ্রিসের পর ইউরো অঞ্চলের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে আর্থিক সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে ইতালি।