Taslima Nasrin: 'চুম্বন বইখানা পড়ে দেখুন মিস্টার ইউনুস'! বইমেলায় তসলিমার বই রাখায় স্টল ভাঙচুর, সরব লেখিকা...
Bangladesh Book Fair: তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে অমর একুশে বইমেলার একটি স্টলে বাগ্বিতণ্ডা ও তুমুল হট্টগোল। সোমবার সন্ধ্যেবেলা বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ স্টলটি ঘিরে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই স্টল বন্ধ করে দেয় পুলিস।
![Taslima Nasrin: 'চুম্বন বইখানা পড়ে দেখুন মিস্টার ইউনুস'! বইমেলায় তসলিমার বই রাখায় স্টল ভাঙচুর, সরব লেখিকা... Taslima Nasrin: 'চুম্বন বইখানা পড়ে দেখুন মিস্টার ইউনুস'! বইমেলায় তসলিমার বই রাখায় স্টল ভাঙচুর, সরব লেখিকা...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2025/02/10/520593-taslima-nasrin.jpg)
সেলিম রেজা,ঢাকা: নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই রাখা ও বিক্রির অভিযোগে আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় দুর্বৃত্তরা একটি স্টল ভাঙচুর করেছে। জানা গিয়েছে, লেখিকার ‘চুম্বন’ বইটি রাখার অভিযোগে এই ঘটনা ঘটেছে। স্টলটির নাম সব্যসাচী, যা বইমেলার ১২৮ নম্বর স্টল।
এর আগে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সব্যসাচীর প্রকাশক সানজানা মেহেরান বলেছেন, প্রতি বছর তিনি তসলিমা নাসরিনের বই প্রকাশ করেন এবং ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় বিক্রি করেন। তবে বাংলাদেশে তসলিমার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি কিছু হুমকিও পেয়েছেন। তবে অতীতে সেগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। এ বছরও তিনি তসলিমার ‘চুম্বন’ বইটি প্রকাশ করেছেন এবং এর পর থেকে একের পর এক হুমকি বার্তা আসছে তাঁর কাছে।
বইমেলায় তসলিমা বই নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর লেখিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন। তিনি লেখেন, 'চুম্বন কেন বইমেলায় নিষিদ্ধ? যেহেতু বইটি আমার লেখা। তিরিশ বছর আগে আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল তখনকার সরকার। তিরিশ বছর আমার বই বলতে প্রায় কিছুই প্রকাশিত হয়নি বাংলাদেশে। তারপরও আমার লেখাকে এত ভয়? এখন গল্পগ্রন্থ চুম্বনটিও ইউনুস সরকারের সইছে না? আগের সরকারগুলো যত না স্বৈরাচারী ছিল, এই ইউনুস সরকার তাদের চেয়ে হাজার গুণ বেশি স্বৈরাচারী। চুম্বন বইখানা পড়ে দেখুন মিস্টার ইউনুস এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক, মানবিক গল্পগুলো নিষিদ্ধ করতে মন চায় কেন আপনাদের? মাদ্রাসার একটা সন্ত্রাসী আমার বই মেলায় থাকুক চায় না বলেই তো? সন্ত্রাসীরা যা খেতে চাইছে, সেটাই তাদের খাওয়াচ্ছেন আপনারা। এভাবেই বাক স্বাধীনতার বিপক্ষে, মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে, গণতন্ত্রের বিপক্ষে যাচ্ছেন। এভাবেই সন্ত্রাসীদের শক্তিশালী করছেন। ধিক।'
আরও পড়ুন:US Woman: এরা মানুষ? মেয়ের মৃত্যুশয্যায় পাশে থাকতে ছুটি নেওয়ায় 'কর্মী' মা-কে তাড়াল কোম্পানি!
অন্য একটি পোস্টে তিনি লেখেন, '১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি আমার বই মেলার সব স্টল থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল, আমাকেও মেলা প্রাঙ্গন থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিল। আজ ৩২ বছর পরও বাংলা একাডেমি সেই একই জায়গায় রয়ে গেছে, এর কোনও উন্নতি হয়নি। এ এখনও শোধরায়নি। বাংলা একাডেমি আজও মেলায় আমার বই নিষিদ্ধ করে, আমি যদি যেতাম মেলায়, আজও আমাকে সরে যেতে বাধ্য করতো। আজও লেখকের বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অথর্ব বাংলা একাডেমির অবস্থান। অসহিষ্ণু মৌলবাদি, যারা সন্ত্রাস করার হুমকি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বাংলা একাডেমির পরিচালক এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আজও লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। লেখকের বই বইমেলায় নিষিদ্ধ করছেন। লজ্জা হয় না আপনাদের? অবশ্য লজ্জা থাকলে তো হবে।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)