ট্রাম্প না হিলারি, কে জিতলে ভারতের সুবিধা?

ডোনাল্ড ট্রাম্প না হিলারি ক্লিন্টন? কে জিতলে ভারতের সুবিধা? একবার দেখে নেওয়া যাক, কার কী এজেন্ডা? এবং তা কোনওভাবে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রভাবিত করছে কি না।               

Updated By: Nov 7, 2016, 10:14 AM IST
ট্রাম্প না হিলারি, কে জিতলে ভারতের সুবিধা?

ওয়েব ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প না হিলারি ক্লিন্টন? কে জিতলে ভারতের সুবিধা? একবার দেখে নেওয়া যাক, কার কী এজেন্ডা? এবং তা কোনওভাবে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রভাবিত করছে কি না।               

ভারত এখন আমেরিকার বিশেষ বন্ধু। মোদী-ওবামা জমানায় নতুন উচ্চতায় পৌছেছে সম্পর্ক। ভারতের বাণিজ্যিক স্বার্থ এখন অনেকটাই আমেরিকার সঙ্গে জড়িয়ে।

  • ২০২০-র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৫০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুই দেশ।
  • আজমেঢ়, বিশাখাপত্তনম এবং এলাহাবাদে স্মার্ট সিটি তৈরিতে বিনিয়োগ করার কথা আমেরিকার।
  • পরমাণু দায়বদ্ধতা আইনের শর্ত লঘু করে পরমাণু বিমার পুল তৈরি করেছে ভারত।
  • ভারত চায় অসামরিক পরমাণু চুক্তি দ্রুত কার্যকর করুক আমেরিকা।
  • মোদী সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগ সফল করতে আমেরিকার যোগদান চায় ভারত।

আরও পড়ুন- আমেরিকার ভোটে এঁরাও আছেন

পরমাণু ক্ষেত্রেও আমেরিকা ভারতের বড় বন্ধু।

  • গত অর্থবর্ষে আমেরিকার থেকে ১৪০০ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে ভারত
  • সীমান্ত নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে প্রকাশ্যে একাধিকবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।

এই সম্পর্কই বজায় থাকুক। অথবা তা আরও ভাল হোক। কিন্তু, তা নির্ভর করছে কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসেন তার ওপর।

নিউ জার্সির প্রচার সভায় প্রকাশ্যেই নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। তাঁর আশ্বাস প্রেসিডেন্ট হলে দুদেশের সম্পর্ক আরও ভাল হবে।
উরির সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনাতেও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভারতে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থও রয়েছে। মুম্বইয়ে বিলাসবহুল বিজনেস টাওয়ার করেছে তার কোম্পানি।

যদিও অভিবাসন সহ একাধিক ইস্যুতে ট্রাম্পের কঠোর নীতি সরাসরি ভারতীয়দের স্বার্থে আঘাত করছে।
উদারপন্থী হিলারিকে নিয়ে সেই সমস্যা নেই। ভারত সম্পর্কে অভিজ্ঞতাতেও ট্রাম্পের থেকে শতযোজন এগিয়ে হিলারি। ১৯৯৫ সালে মাদার টেরিজার অন্ত্যেষ্টিতে প্রথম ভারতে আসেন হিলারি ক্লিন্টন।
বিল ক্লিন্টন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন হিলারি। ওবামা জমানায় মার্কিন বিদেশসচিব হিসেবে একাধিকবার ভারত সফর করেছেন হিলারি ক্লিন্টন।

আরও পড়ুন- প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট কি কৌলিন্য হারাচ্ছে?

ওবামার ভারত বান্ধব নীতিগুলি বিদেশসচিব হিলারির মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়েছে। জঙ্গিদমন নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে একাধিকবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন হিলারি।

পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে ওবামা জমানায় গৃহীত নীতিগুলিই এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে ট্রাম্প জিতলে তিনি কী করবেন তা অনেকটাই অজানা। তবে, কোনওদেশের পক্ষেই রাতারাতি বিদেশনীতি আমূল বদলে ফেলা সম্ভব নয়।

.