বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ণ, টাইফুন হচ্ছে ঘনঘন, দীর্ঘশ্বাস রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া পরিবর্তন বৈঠকে
গত ১১ নভেম্বর থেকে পোল্যান্ডের ওয়ারসতে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া পরিবর্তন বিষয়ক বৈঠক। আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক। বিশ্বের উন্নতিশীল দেশগুলিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের মোকাবিলায় সাহায্যের পরিমাণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তারই চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হওয়ার কথা এই বৈঠকে।
গত ১১ নভেম্বর থেকে পোল্যান্ডের ওয়ারসতে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া পরিবর্তন বিষয়ক বৈঠক। আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক। বিশ্বের উন্নতিশীল দেশগুলিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের মোকাবিলায় সাহায্যের পরিমাণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তারই চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হওয়ার কথা এই বৈঠকে।
গত সপ্তাহেই টাইফুন হাইয়ানে বিধ্বস্ত হয়েছে ফিলিপিন্স। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া এই সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে মৃত্যু হয়েছে দশ হাজার মানুষের। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষ। নষ্ট হয়েছে কোটি কোটি ডলারের সম্পত্তি। প্রকৃতির এই তাণ্ডবই ভাঁজ ফেলেছে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের কপালে। তাঁদের মতে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রভাব ফেলছে আবহাওয়ার ওপরে। পরিবর্তিত হচ্ছে জলবায়ু। আর তার জেরেই তৈরি হচ্ছে হাইয়ানের মত তুমুল শক্তিশালী ঝড়। আর এই বিষয়টিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে উঠে আসছে নভেম্বরের এগারো তারিখ থেকে পোল্যান্ডের ওয়ারসতে শুরু হওয়া রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়ার পরিবর্তন বিষয়ক বৈঠকে।
বিশ্বের উন্নতিশীল দেশগুলিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের মোকাবিলায় সাহায্যের পরিমাণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হওয়ার কথা ওয়ারসর বৈঠকে। বেসরকারি সংস্থা জার্মানওয়াচ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দশটি দেশকে তালিকাভুক্ত করেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে হাইতি, ফিলিপিন্স, পাকিস্তানের মত দেশ।
ওয়ারসর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়ার পরিবর্তন বিষয়ক বৈঠক হয়েছিল জার্মানির বন-এ। সেবার উন্নতিশীল দেশগুলিকে সাহায্যের বিষয়ে সহমত হতে পারেনি বৈঠকে যোগদানকারী দেশগুলি। কিন্তু ফিলিপিন্সের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ওয়ারসতে বৈঠকে বন-এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই মনে করছে জার্মানওয়াচ সংস্থা।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ফিলিপিন্সের আবহাওয়া পরিবর্তন কমিশনের আধিকারিক নাদেরেভ সানো। ওয়ারসতে গত সোমবার থেকে অনশন শুরু করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন বহু পরিবেশকর্মীও। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিকে আরও বেশি অর্থ সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন সানো ও তাঁর সঙ্গীরা।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে পৃথিবীর সমুদ্রতলের উচ্চতা গত ১০০ বছরে প্রায় আট ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে টাইফুন বা সাইক্লোনের মত ঝড়ের সময় সমুদ্রের জলের তোড়ে উপকূলবর্তী জনবসতিগুলির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে অনেকগুণ। এই অবস্থায় ওয়ারসর বৈঠক থেকে আরও বেশি অর্থ সাহায্যের বিষয়ে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয় কীনা সেদিকেই তাকিয়ে উন্নতিশীল দেশগুলি।