অভাবের সংসারে সামর্থ নেই চিকিৎসার, আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন জলপাইগুড়ির দিনমজুর
সংসারে অনটন। সামর্থ্য নেই চিকিত্সারও। বাঁচতে তাই আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের এক দিনমজুর। শনিবার সকালে রেল লাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।

ব্যুরো: সংসারে অনটন। সামর্থ্য নেই চিকিত্সারও। বাঁচতে তাই আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের এক দিনমজুর। শনিবার সকালে রেল লাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
রাজগঞ্জের পাগলুপাড়া। এখানেই থাকতেন পেশায় দিন মজুর হরেন রায়। বয়স ছেষট্টি। অনেক দিনধরেই পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। কাজেও যেতে পারছিলেন না। ফলে সংসারে অনটনও বাড়ছিল।
হরেন রায়ের মেয়ে স্কুল পড়ুয়া। ছেলেও পেশায় দিনমজুর।তাঁর নিজেরও সংসার রয়েছে। অভাব থেকে ত্রাণের কোনও রাস্তাই আর পাচ্ছিলেন না হরেন রায়।
শনিবার বাড়ির কাছে রেল লাইনে গলা দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
অভাব আর অসুস্থতার সাঁড়াশি চাপেই হরেন রায় আত্মহত্যার পথ বেছেছেন বলে মনে করছেন তাঁর প্রতিবেশীরা।
কাজ করার ক্ষমতা ছিল না। বয়স্ক নাগরিক হিসেবে বার্ধক্যভাতা পেতে পারতেন হরেন রায়। ছিল অন্যান্য সরকারি সহায়ক প্রকল্পও। তারপরও এক দিন মজুরের আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠেছে ওই এলাকায় পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়েও। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন রাজগঞ্জের বিডিও এনসি শেরপা।