আসানসোলে বিক্রি হওয়া শিশুকে উদ্ধার করল পুলিস
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। আসানসোলের শিশু বিক্রির ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। আসানসোল উত্তর থানা বিক্রি হওয়া শিশুকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল মায়ের হাতে। আসানসোলের মহকুমাশাসক কথা বলেন শিশুটির মায়ের সঙ্গে। পরিবারটির থাকা ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি। চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয়েছে মা ও শিশুটিকে।
চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। আসানসোলের শিশু বিক্রির ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। আসানসোল উত্তর থানা বিক্রি হওয়া শিশুকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল মায়ের হাতে। আসানসোলের মহকুমাশাসক কথা বলেন শিশুটির মায়ের সঙ্গে। পরিবারটির থাকা ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি। চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয়েছে মা ও শিশুটিকে।
আসানসোল উত্তর থানার বাসিন্দা লক্ষ্ণী হাঁড়ি, অভাবের তাড়নায় তিনমাসের সন্তানকে এলাকার এক দম্পতির কাছে একহাজার টাকায় বিক্রি করেন । এই খবর চব্বিশ ঘন্টায় সম্প্রচার হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মী হাঁড়ির সঙ্গে দেখা করেন আসানসোলের মহকুমা শাসক।
সন্তানকে ফিরে পেলেও তাকে কীভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় লক্ষ্মী হাড়ি। তিনি বলছেন, সরকার তাঁর সন্তানের খাওয়ার ব্যবস্থা না করলে ফের একই পথ নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
মাস তিনেক আগে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন লক্ষ্মী হাঁড়ি। কীভাবে বড় করবেন ছেলেকে? জানতেন না। কারণ, মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও যে নেই লক্ষ্মীর। তার ওপর আরও তিন সন্তান। চতুর্থ সন্তানের জন্মের আগেই ছেড়ে চলে গিয়েছেন ওর স্বামীও। খাওয়ার সংস্থানটুকুও করে উঠতে পারছিলেন না লক্ষ্মী। এই অবস্থাতেই কোলের সন্তানটিকে এলাকার এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন তিনি।