এক পুলিস দুই মুখ- পুলিসকে ধাক্কা মেরেও বেল পেলেন বিধায়ক, মালদায় পুলিসের লাঠি খেয়ে মিলল না জামিন
এক পুলিস, দুই মুখ। ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি-র ওপর চড়াও হয়েও চার মিনিটে জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। কারণ, পুলিস তাঁর বিরুদ্ধে কোনও জামিনঅযোগ্য ধারা দেয়নি। আর মালদায় সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা পুলিসের হাতে মার খাওয়ার পর জেলেও
ওয়েব ডেস্ক: এক পুলিস, দুই মুখ। ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি-র ওপর চড়াও হয়েও চার মিনিটে জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। কারণ, পুলিস তাঁর বিরুদ্ধে কোনও জামিনঅযোগ্য ধারা দেয়নি। আর মালদায় সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা পুলিসের হাতে মার খাওয়ার পর জেলেও
গেলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যে জামিনঅযোগ্য ধারা দিতে ভুল করেনি পুলিস!
বিধায়ক শাসাচ্ছেন। পুলিসকে ধাক্কা দিচ্ছেন। খাকি উর্দির সাহস নেই তাঁকে ধরার। কিছুক্ষণ পর ওপরমহলের ফোন এল ডায়মন্ড হারবার থানায়। দীপক হালদারকে গ্রেফতার করতে হবে। কথাটা তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না পুলিসকর্মীরা! যাইহোক, শেষমেষ গ্রেফতার হলেন তৃণমূল বিধায়ক। এ বার আরেক ফ্যাসাদ! কী ধারা দেওয়া হবে? শাসকদলের বিধায়ক বলে কথা!
সোমবার গভীর রাতে পুলিস ঠিক করে তৃণমূল বিধায়কের মান রাখতে দেওয়া হবে জামিনযোগ্য ধারা। দীপক হালদারের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, ভীতি প্রদর্শন, মহিলাদের সম্মানহানি এবং গুরুতর আঘাতের অভিযোগ আনা হয়।
চিত্রনাট্য তৈরি হয়ে যায় তখনই। বাকিটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে চার মিনিটের মধ্যে জামিন পেয়ে যান
তৃণমূল বিধায়ক।
এবার দেখে নেওয়া যাক মালদায় কী হয়েছিল-
প্রশাসনের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানাতে গিয়ে পিঠে পড়ল পুলিসের লাঠি। পুলিস পেটাল পুলিসই। মার খেয়ে
সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা ভর্তি হলেন হাসপাতালে।
পুলিসের কাজে বাধা দিতে গুরুতর আঘাত। পুলিসের ওপর হামলা। এ বার কিন্তু ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারা দিতে দু-বার ভাবেনি পুলিস।
মঙ্গলবার ১২ জন সিভিক ভলান্টিয়ার্সের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিসকে ধাক্কা মেরেও ছাড় পেয়ে গেলেন শাসকদলের বিধায়ক। আর যাঁরা পুলিসের লাঠি খেলেন তাঁরা যাতে জামিন না পান সে জন্য সব ব্যবস্থা পাকা।
আইনজীবীরা বলছেন, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দিতে আঘাত, পুলিসের ওপর হামলা ও ফকিরচাঁদ কলেজে তাণ্ডবের জেরে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মতো অভিযোগে দীপক হালদারের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করতে পারত পুলিস।
এক পুলিস দুই মুখ, কেন?
কেন আবার? বিরোধীরা বলছেন, শাসকদলের লোক হলে এক নিয়ম। না হলে অন্য নিয়ম। এ রাজ্যে এখন এটাই রীতি। পালাবদলের পর থেকে এটাই চলছে।