নোবেল চুরির তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি
নোবেল চুরির তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি। বিশ্বভারতী থেকে পদক চুরির পর এই প্রথমবার কাউকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল। গত ১২ নভেম্বর, শনিবার ভোররাতে বীরভূমের মলডাঙা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদীপ বাউড়ি নামে এক বাউলকে। তাকে জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।
ওয়েব ডেস্ক : নোবেল চুরির তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি। বিশ্বভারতী থেকে পদক চুরির পর এই প্রথমবার কাউকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল। গত ১২ নভেম্বর, শনিবার ভোররাতে বীরভূমের মলডাঙা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদীপ বাউড়ি নামে এক বাউলকে। তাকে জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।
প্রদীপ বাউড়ি পেশায় একজন বাউল। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন প্রাক্তন এই সিপিএম কর্মী। পরিবার জানাচ্ছে, ১৩ দিন আগে ভোররাতে প্রদীপ বাউড়িকে তুলে নিয়ে যায় পুলিস। যদিও, প্রদীপ কোনওভাবেই নোবেল চুরির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি পরিবারের। এদিকে প্রদীপ বাউড়ির পরিবার যাই দাবি করুক, নোবেল চুরির সঙ্গে ধৃতের প্রত্যক্ষ যোগসূত্র রয়েছে বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। সিবিআই তদন্তের সময়েও প্রদীপ বাউড়িকে একবার আটক করে ১৩ দিন জেরা করেছিল CBI।
জিজ্ঞাসাবাদের পর সিট কর্তারা নিশ্চিত নোবেল চুরির ষড়যন্ত্র প্রদীপ বাউড়ির সামনেই হয়েছে। পরিকল্পনা থেকে চুরি পুরো প্রক্রিয়াতেই যুক্ত সে। এমনকি অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া ও পালিয়ে যেতেও সাহায্য করে সে। তাঁর নারকো অ্যানালিসিসের অনুমতি ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে আদালত। শিগগিরই গুজরাতে প্রদীপ বাউড়ির নারকো অ্যানালিসিস করা হবে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের স্বর্ণব্যবসায়ী মহম্মদ হোসেন শিপলু নোবেল চুরির নাটের গুরু। ইউরোপের এক পাচারকারীও গোটা চুরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নোবেল চুরির তদন্তে জার্মানির এক নাগরিকেরও নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।